বৈজ্ঞানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াই শিক্ষার উদ্দেশ্য ।
1 .আমরা যারা প্রাইমারি স্কুল পার করে , মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে কলেজে বা চাকরিতে আছি বা বসে আছি তাদের নিশ্চয় নিজেদের শিক্ষালয়ের কথা বেশ মনে আছে ? সেখানে কিভাবে পড়তাম তাও মনে আছে হয়তো ? এখন যদি কেউ ফিরে দ্যাখে তবে তারা দেখবে যে, পরিবেশর সামান্য উন্নতি পরিকাঠামোর বেশ একটু পরিবর্তন হয়েছে যদিও , পরিবর্তন হয় নি পাঠদান পদ্ধতির ।আর হলেও তা চোখে পড়ার মতো নয় ।তাহলে এখানে আমরা প্রশ্ন তুলতেই পারি -যে পথে আমাদের শিক্ষা চলছে তা কতটা ঠিক ।এর উপর আব্দুল্লাহ আল মুতির একটি বিশ্লেষণ মূলক বই এ বেশ ঝকঝকে আলোচনা করা হয়েছে ।বইটির নাম -আমাদের শিক্ষা কোন পথে ।তবে আমাদের করা প্রশ্নটির উত্তর আমরা খুব সহজ ভাবে আর অল্প কথায় তুলে ধরব ।
2.কোন কাজের ভুল তখনই ধরা সম্ভব হয় যখন সেই কাজের একটা লক্ষ্য আমাদের সামনে থাকে ।তাহলে প্রশ্ন তুলতেই পারি- শিক্ষার উদ্দেশ্য কি? (যদিও এটি নতুন কোন প্রশ্ন নয় )। তাহলে তবে দেখা যাক, প্রাইমারি , মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যে পাঠ্যপুস্তক গুলে পড়ানো হয় সে গুলোতে এমন কি থাকে যা শিক্ষার উপাদান হিসেবে ধরা হয়? আমরা যদি আমাদের পাঠ্যপুস্তক গুলো বিশ্লেষণ করি দেখতে পাব যে সেখানে তথ্য পরিবেশনের তিনটি ভিত্তি :যুক্তি , পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ।অনুমিত কোন তথ্য নয় ।যা আসলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অগ্রসর হবার পরিচায়ক ।
3. তাহলে বলত পারি বৈজ্ঞানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াই শিক্ষার
উদ্দেশ্য । বিশেষভাবে , পাঠ্যপুস্তকের দিকে তাকিয়ে
এই কথা বলতে পারি ।কিন্তু তার
দরকার কেন? হ্যাঁ , এই প্রশ্নটিই আমাদের নতুন পথ
দেখাবে ।
আমার দৈনন্দিন
জীবনে চলার পথে হাজার ও সমস্যার সম্মুখীন
হই ।যার সমাধান করতে পারলে হয়তো
একটা আলাদা অনুভূতি পাওয়া
যেত, যা সচারাচর আনন্দ, শান্তি , সুখ, বা সন্তুষ্টি নামে পরিচিত
। অর্থাৎ আমারা বলতে পারি
শিক্ষার একটি গুরুত্ব পূর্ণ উদ্দেশ্য
সমাজের মানুষের নানা সমস্যার
সমাধান করা ।যা কিনা দক্ষ মানব সম্পদই পারে তা করতে ।
4.আর
মানুষকে এই দক্ষ করে
তোলার জন্যই রাষ্ট্রের সরকার জনগোষ্ঠীর শিক্ষার ভার নিয়েছে
।যার জন্য আমাদের জন্য
স্কুল কলেজ ।শুধু সমস্যার
সমাধান নয়, তাদেরকে দেশের উন্নয়ন
কারি জনগণের রূপান্তরিত করাও
শিক্ষার
উদ্দেশ্য ।নতুন রহস্যের উন্মোচন
করা, রহস্যের তৈরী করাও
শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসাবে
পরিগনিত হয়
5.এবার আগের সেই প্রশ্নটি ,একটু
অন্যভাবে ,ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীল ,আদর্শবাদী
এবং কর্মদক্ষ করে তোলার জন্য আমরা যে পথে এগোচ্ছি তা কতটা ঠিক ? প্রথমত
আমরা যে সঠিকভাবে দক্ষ হতে পারছি না তার
প্রমাণ আমাদের চোখের সামনে ।আমরা রাজনীতি অর্থনীতি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তেমন কোন
প্রভাব ফেলতে পারছি কি ?যদিও এসব বিষয় ক্লাসে পাঠ্যপুস্তক
হিসাবে পড়ানো হয় ।এখনো আমরা স্বাস্হ্য সমস্যা , কৃষি
সমস্যার মধ্যে আছি ।
6.আর এর কারন হচ্ছে আমাদের স্কুল কলেজগুলো আমাদের ঠিকমত দক্ষ করে
তুলতে পারছে না ।কেন পারছে না ?
7.আর
এই না পারার কারণ হল :নিশ্চিত
রূপে তাদের নিজেদের দক্ষতার
অভাব ।কেন? তাহলে তারা দক্ষতার এই অভাব নিয়ে এই পেশায়
এলো কেন? আনলই বা কারা? তবে এটা কখনোই বলা ঠিক
হবে না যে অধিকাংশ শিক্ষক
কম জানে বা অদক্ষ ।তাই যদি হতো
তবে আজ আমরা যেখানে
আছি সেখানে থাকতামই না ।এটা মানতেই
হবে মানুষকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে তাদের
অবদান অনস্বীকার্য ।কিন্তু
তা সত্ত্বেও আজও অধিকাংশ
শিশু সম্পদ হয়ে উঠতে পারছে না কেন?
8.সম্পদ
করে তোলা হচ্ছে
না বলে ।কিন্তু কারা তা করতে পারছে
না? এই ব্যর্থতা
কি মা বাবার নাকি শিক্ষকদের? আমার
মনে হয় এই প্রশ্নটি উভয় পক্ষের খুব
কম জনের মাথায় আসে ।আর যেহেতু আসল সমস্যা
কেউ চিহ্নিত করতে পারে না, তা তা থেকেই যায়।
9.এখানে
আমি আমার নিজস্ব
একটি অভিমত তুলে ধরছি : প্রথম
প্রশ্ন হল স্কুল কেন?
সামাজিক
পরিবেশ বা ব্যবস্থার সাথে তার
সম্পর্ক কি ?
কুসংস্কার তো সমাজেই থাকবে, অবৈজ্ঞানিক
মতবাদ তো সমাজেই থাকবে । আর তা নিয়ে
শিশু আসবে স্কুলে ।শিশুর মা বাবা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই
অন্ধকারে ।অনেকে নিরক্ষর ।তাহলে
শিক্ষা নামক এই বৈজ্ঞানিক
ব্যাপারে তারা অজ্ঞ থাকবে এটাই স্বাভাবিক
। অর্থাৎ বলতে চাচ্ছি , মানুষকে সম্পদ করে তোলার দায়িত্ব
পুরোটাই আমি দিতে চাই
শিক্ষা সচেতন মানুষদের
হাতে ।
10.এখন
প্রশ্ন হলো শিক্ষা সচেতন
মানুষ কারা? যদি বলি শিক্ষকরা তবে কিন্তু
ভুল হবে ।কেননা, এই সচেতনতাটি আসে নিজস্ব
চিন্তা থেকে , সামাজিক সমস্যা
নিয়ে ভাবতে ভাবতে ।কিন্তু
আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকই যে করে না তা তাদের শিক্ষা দান এবং
আচারণে বেশ ফুটে ওঠে ।কিন্তু তা তারা করে না
কেন? কারণ তাদেরও শিক্ষা
গ্রহণে ত্রুটি ছিল ।
অর্থাৎ সমস্যাটি চক্রাকারে ঘুরছে ।এখন প্রশ্ন
হল কিভাবে উত্তোরণ ঘটতে পারে ?
11.নিসন্দেহে সমস্যাটা গুরুত্বপূর্ণ ।এর সমাধান ও একদিনে
সম্ভব নয় ।তা সত্ত্বেও
এখন আমরা দেখি সমস্যাটি সমাধানে কি কি করা
যেতে পারে :
writer : Antu biswas
writer : Antu biswas
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
জনপ্রিয় পোষ্ট
-
.সৃজনশীল মানে আপন সৃষ্টি. সৃজন শব্দের অর্থ হলো সৃষ্টি , আর শীল শব্দের অর্থ হলো নিজ। অর্থাৎ সৃজনশীল শব্দের সম্...
-
আত্মহত্যা - সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান তাকভির হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মৃ...
-
প্রিয়া জগদীশচন্দ্র রায় Unversity of Calcutta তুমি কেমন আছো? সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর হ’ল তোমাকে ছেড়ে এসেছি। আর এই ত্রিশ বছরে আমি বাধ্য হয়ে...
-
1 . আমরা যারা প্রাইমারি স্কুল পার করে , মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে কলেজে বা চাকরিতে আছি বা বসে আছি তাদের নিশ্চয় ...
তোমার লেখাটা অসাধারন | পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থার গোড়ার কথা যেভাবে প্রশ্ন করে করে বিশ্লেষন মূলক উত্তর তৈরি করেছ তা বলার অপেক্ষা রাখে না | তুমি যেভাবে প্রতিটা ব্যাপার বিশ্লেষন করেছ আর প্রচুর প্রশ্ন করেছ তা প্রত্যেকের দৃষ্টি আকর্ষন করবে | কোথায় শিক্ষা ব্যাবস্থায় গোড়ামি আছে তা ভালভাবে ফুটিয়েছ | শিক্ষা নিয়ে প্রমথ চৌধুরির একটা লেখা পড়েছিলাম সেই আলোকে তুমার বিশ্লেষন আরও অর্থবহ এবং নতুনত্ব এনেছে | তবে তোমাকে লেখার ভেতর কিছু সহজ উদাহরন ব্যাবহার করতে বলব
ReplyDeleteবেশ ঊচ্চ মার্গের চিন্তাবিদ রা তোমার লেখার পুর অর্থ বুঝতে পারবে | আমি গর্বিত তোমার মত কারো সঙ্গ আমি পাচ্ছি
ReplyDeleteবন্ধু , সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে এখন আর করার নেই কিছুই ।তাই কলমই ধরলাম শেষে ।
ReplyDeleteসুখপঠ্য লেখা। লেখায় যে হারে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, তাতে শিরোনাম, “বৈজ্ঞানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা - কোন শিক্ষা পাচ্ছি, আমাদের কোনটা দরকার!?” এরকম হলে বোধহয় উপযুক্ত হতো। যাকগে সে কথা, লেখাটা ভালো হয়েছে কিন্তু শুধু প্রশ্ন রাখলে হবেনা। পাশাপাশি আপনার মতামতও পাঠক জানতে চায়। এছাড়া আমি মনে করি ভালো জানা শিক্ষকের থেকে কৌশলি শিক্ষক দরকার, কারন আমাদের শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক চাপের কথাও ভাবতে হবে। যে হারে সিলেবাস রিচ হচ্ছে তাতে ছেলে মেয়েদের মাথায় সেটা সহজে ঢোকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সবথেকে ভালো উপায় ভালো রেজাল্টের থেকে প্রচুর পড়ুয়া ছাত্র তৈরি করা। পড়ার নেশা একবার কারো পেয়ে গেলে, বাকি পথ সে একাই চলতে পারবে। আর এরজন্য দরকার পড়াশুনা বা বিজ্ঞানের বিষয়গুলাকে মজার করে পড়ানো। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মতামত। ভালো লেখা। আরেকটু গুছিয়ে লিখলে ভালো হবে। আরো লিখতে থাকুন।
ReplyDeleteভাই, আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি ।লেখার ত্রুটি গুলো অবশ্যই আমি বুঝতে পারছি ।অনবরত প্রশ্ন না তুললে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে ।তাই প্রশ্ন করার পর আর উত্তর খোজার পর্যায়ে থাকি না ।যেটা কিনা লেখাকে দুর্বোধ্যকরে তোলে, করে তোলে রসকস হীন ।পরবর্তীতে ভালো করায় আশায় আছি ।
ReplyDelete