আত্মহত্যা-সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান
আত্মহত্যা-সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান
মৃত্যু,হত্যা কিংবা আত্মহত্যা যেটাই বলি না কেন,সব গুলরই উদ্দেশ্য এক -
ইহকালের জীবনকে বিদায় দিয়ে পরকালকে আলিঙ্গন করা । অবশ্য এখানে একটা
দ্বিমত আছে, নাস্তিক অর্থাৎ যারা আল্লাহ্, ভগবান,ঈশ্বর কিংবা এরকম কোন
স্রষ্টাকেই বিশ্বাস করে না,তাদের মতে পরকাল বলে কিছুই নেই । তবে আজকের
আলোচনা থেকে নাস্তিকতাকে বাদ দিয়ে চলুন সম্মুখে অগ্রসর হওয়া যাক ।
যা বলছিলাম, মৃত্যু, হত্যা কিংবা আত্মহত্যা সবগুলোরই অর্থ ইহকালের জীবনকে
পশ্চাৎ প্রদর্শন করা । যদিও উদ্দেশ্যগত দিক থেকে তিনটি বিষয়ের মধ্যে কোন
অমিল নেই, তবে অমিল আছে এদের বৈশিষ্ট্যে, প্রক্রিয়ায় এবং ফলাফলে । এসবের
মধ্যে মৃত্যু প্রক্রিয়াটি সব থেকে সরল, দিনকে দিন হত্যা বিষয়টিও বেশ
গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে । আজকাল হত্যা শিরোনামটি পত্রিকা কিংবা টিভি
সাংবাদিকদের জন্য বেশ একটা খবরের যোগান দাতা হয়ে দাঁড়িয়েছে । স্বাভাবিক
হয়ে ওঠা এই দুটি নামের বাইরে যেটি থেকে যায়,তা হলো আত্মহত্যা । আর এই
আত্মহত্যাকে নিয়েই আজ অগ্রসর হবো আমরা ।
বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে আত্মহত্যাকে ব্যাখ্যা করলেও যে বিষয়টিতে সবাই
একমত হয়েছেন তা হলো, “বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় নিজের মৃত্যুকে গ্রহন
করাই আত্মহত্যা ।” কোন ধর্ম কিংবা সমাজে আত্মহত্যাকে প্রশ্রয় দেওয়া
হয়নি,বরং নিরুৎসাহিত করা হয়েছে । এ দেশের অধিকাংশের ধর্ম যে ইসলাম ধর্ম,
সেখানেও আত্মহত্যাকে গর্হিত পাপ হিসেবে গণ্য করা হয় । সমাজের চোখেও
আত্মহত্যা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত, হেয় হতে হয় আত্মহত্যাকারীর বিন্ধু এবং
স্বজনদের । এখন মনে মনে একটা প্রশ্ন জাগতেই পারে, এতো কিছুর সত্ত্বেও কেন
মানুষ আত্মহত্যা করছে ? নিজের দায়বদ্ধতা থেকে উত্তরটা দিচ্ছি ।
ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যা নামের এই অপ-মৃত্যুর জন্য দায়ী আসলে আমরা নিজেরাই
এবং আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা । পাশাপাশি এর প্রভাবক হিসেবে যে
উপাদানগুলো সহায়তা করছে তারা হলো- অজ্ঞতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, হীনমন্যতা,
মানসিক অশান্তি এবং সামাজিক বিড়ম্বনা । এই পাঁচটি প্রভাবকের দ্বারা
প্রভাবিত হয়ে মানুষ তার সব থেকে মূল্যবান জীবনটিও বিলিয়ে দিতে দ্বিধা
করছে না ।
অজ্ঞতার বেড়া জাল থেকে এখনো পুরপুরি মুক্ত হতে পারিনি আমরা । আধুনিক যুগে
এসেও এই সমাজ আচ্ছাদিত হয়ে আছে বিভিন্ন কুসংস্কারে । বিভিন্ন সময় এই
কুসংস্কারগুলোই আত্মহত্যার প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে । অলক্ষ্মী,অপয়া,
কালনাগিনী কিংবা এমন বিভিন্ন উপাধি আমাদের সরল গৃহবধূদের আত্মহত্যার একটা
কারন হিসেবে এখনো স্বীকৃত । পারিবারিক কলহ কিংবা স্বজনের মৃত্যুর জন্য
নতুন বধূকে দায়ী করার রেওয়াজ আবাহমান বাংলায় এখনো প্রতিষ্ঠিত । এসব
কুসংস্কারই পরবর্তীতে তাদের আত্তহুতির মতো পাপের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ।
সফল হয়ার আকাঙ্ক্ষা কার নেই ? এই আকাঙ্খাকে পুঁজি করেই মানুষ তার লক্ষ্যে
পৌঁছে । বিল গেটস এর কথা বলি কিংবা নরেন্দ্র মোদী সবারই সফল হওয়ার পেছনে
আছে তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর কঠোর পরিশ্রমের গল্প । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য
যে, বর্তমান তরুনেরা তাদের আইডোলদের সফল হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ
করলেও,উহাদের কঠোর পরিশ্রম করার দৃঢ় মনোভাবকে ধারণ করে না । আর বিপত্তির
শুরুটা হয় এখান থেকেই । প্রবাদ আছে, “ পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ।”তবে
কিছু না করে সবকিছু পাওয়ার আশা করা, আজ কাল তরুণ সমাজের একটি অভ্যাস হয়ে
দাঁড়িয়েছে । এই অলসতার কারণে যদি তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে ছিটকে
পড়ে, তখনি শুরু হয় ভিন্ন একটা অধ্যায় । শুরু হয় হতাশা আর গ্লানি । আর
একটা মুহূর্তে গিয়ে এই হতাশা আর গ্লানিই একজন তরুণকে আত্তহুতির পথ বেছে
নিতে প্রভাবিত করে ।
জীবন যুদ্ধে পরাজিত কাউকে এই সমাজ কখনোই সহজ ভাবে গ্রহন করেনি । সহজ ভাবে
গ্রহন করেনি প্রতিবন্ধী কিংবা হিজড়াদেরও । প্রতি পদে হেয় হতে হতেই বেড়ে
ওঠে এরা । জিবনে প্রাপ্তির খাতাটা তাই প্রায় শূন্যই থেকে যায় । এমন
অবস্থায় জীবনের উপর থেকে মায়া উঠে যাওয়া অস্বাভাবিক নয় । এমন হীনমন্যতায়
ভুগে স্ব-জীবননাশের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়াও কারো জন্য খুব বেশী অস্বাভাবিক
বলে মনে হয় না ।
সুখ-দুঃখ জিবনে পালা করে আসে । যার জিবনে দুঃখের ব্যাথা নেই, তার জিবনে
সুখের আনন্দও নেই । দুঃখের ব্যাথা যতো গভীরই হোক না কেন, তা কখনো চির
স্থায়ী নয় । এই অস্থায়ী ব্যাথার আঘাত সহ্য করতে না পেরে অনেকেই খুঁজে নেয়
চির স্থায়ী সমাধান, আত্মহত্যার গ্যাঁড়াকলে পিষ্ট হয় তারা । আত্মহত্যা
প্রতিরোধ মতবাদে তাই যতার্থই বলা হয়েছে, “ আত্মহত্যা হচ্ছে সাময়িক
সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ।” বিরহ, ব্যক্তিগত জিবনে কলহ, পারিবারিক কলহ,
ইত্ত্যাদি থেকে সৃষ্ট মানসিক সমস্যার সমাধান হাতে হাতেই দিয়ে দেয়
আত্তহুতি ।
মানুষ সামাজিক জীব । সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই তারা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে
আসছে । একে অন্যকে যেমন সাহায্য করেছে তারা,তেমনি সময়ে সময়ে অন্যের
ধ্বংসের কারনও হয়েছে । কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে একে অন্যকে সাহায্য
করার বদলে অন্যের জন্য তারা হুমকিই হয়ে উঠছে বেশী । গুম, হত্যা, ধর্ষণ,
নির্যাতন এখন কলি যুগকে হার মানাতে বসেছে । নারীদের আত্মহত্যার পেছনে সব
থেকে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে এই সামাজিক বিড়ম্বনা । ইভটিজিং,
ধর্ষণ,যৌতুক কিংবা নারী নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধগুলো সংগঠিত হচ্ছে
হরহামেশাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যার কোন সুষ্ঠ বিচার হচ্ছে না । এর ফলে
যেমন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে, সমানুপাতিক হারে বাড়ছে ভুক্তভোগীর আত্মচিৎকারও
। অন্যদিকে সমাজের রসালো গল্প আর অযৌক্তিক তিরস্কার ভেঙ্গে দিচ্ছে
ভুক্তভোগীর বেঁচে থাকার মনোবল । শেষমেশ আত্মহননের মতো ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত
নিতেও পিছপা হচ্ছে না এই সামাজিক অভাগাগুলো ।
এবার আসুন একটু পরিসংখ্যানের দিকে নজর দেওয়া যাক । বাংলাদেশ সেন্টার ফর
পলিসি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের যৌথ এক জরিপ মতে, “২০১৪ সালে গোটা দেশে
আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার, ২০১৫ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ১৪
হাজার, আর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতেই শুধু সারা দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে
আড়াই হাজার ।” এখন সরল মনে একটা প্রশ্ন জাগতেই পারে, দিন দিন গোদের উপর
বিষফোঁড়া হয়ে উঠা এই সমস্যার কী কোনই সমাধান নেই ? উত্তরটাও বেশ সরল,
“হ্যাঁ,সমাধান আছে । কিভাবে ? চলুন দেখা যাক-
শুধু দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই বদলে দিতে পারে গোটা প্রেক্ষাপট । আত্মহত্যা
যে কোন সমাধান নয়,এই বিশ্বাসটি যখন সবার মাঝে জন্ম নিবে,তখন আর প্রবন্ধ
লিখে কাউকে আত্মহননের প্রতি নিরুৎসাহিত করতে হবে না । সৃষ্টিকর্তা তার
অপার মহিমা দিয়ে এই পৃথিবী সৃজন করেছেন, সৃষ্টি করেছেন
ফুল,ফল,পাখি,নদি,পাহাড়,সমুদ্র,মরুভুমি । আর এসব অবলোকন করার জন্য মানুষকে
দিয়েছেন চোখ এবং উপলদ্ধির জন্য দিয়েছেন উন্নত মস্তিষ্ক । আর এই মস্তিষ্কই
মানুষকে করেছে বিচক্ষণ, ঠিক-ভুলের ব্যাবধান বুঝিয়েছে আদিমকাল থেকেই ।
কখনো কি নিজের এই মস্তিষ্কের কাছে প্রশ্ন করেছেন, আত্মহননের যে
সিদ্ধান্তটা নিচ্ছেন সেটা ঠিক কি না । যদি না করে থাকেন,তবে এখনি একবার
করে নিন ।
পৃথিবীতে তেলাপোকা,টিকটিকির মতো এমন কিছু ক্ষুদ্র জীব আছে যাদের মস্তিষ্ক
আপনার মস্তিষ্কের তুলনায় লক্ষ ভাগের এক ভাগও নয় । কিন্তু আশ্চর্যের
বিষয়টা কী কখনো খেয়াল করেছেন, “কখনো কী এইসব তেলাপোকা কিংবা টিকটিকিদের
আত্মহত্যা করতে দেখেছেন ?” নিশ্চয় দেখেননি । তাহলে সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে
আপনি কেন এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ? উত্তর হিসেবে আপনি বলতেই পারেন,
জীবনের প্রতি আপনার কোন ভালবাসাই নেই কিংবা দুঃখে ভরা জীবন থেকে আপনি
পালাতে চান । এবার আসুন আপনার যুক্তির বিপরীতে দুয়েকটা যুক্তি দেখানো যাক
।
কোন কারণে নিজের জীবনের প্রতি বিরক্ত আপনি হতেই পারেন । কিন্তু আত্তহুতির
মতো সাংঘাতিক একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখুন, আপনাকে ঘীরে
বেঁচে আছে আপনার পরিবার,আপনার বন্ধুরা । তাছাড়া আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরে
এসে পরবর্তীতে সফল হওয়া মানুষের উদাহারণ পৃথিবীতে বিরল নয় । আপনি হয়তো
ভাবতে পারেন,ওই সকল মানুষের মতো আপনি নন । আচ্ছা মেনে নিলাম, ভবিষ্যতে
আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই,তাহলে অন্য পথ বেছে নেন না কেন ? মাদার
তেরেসা তার সারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন মানবতার জন্য । আপনিও না হয় তার
মতো কেউ হোন । নিজের জীবনটা অপচয় না করে মানবতার জন্যই না হয় দান করলেন,
কথা দিতে পারি নিজে ও বেঁচে থাকার আশা ফিরে পাবেন । ইতিহাস একদিন আপনার
কথা বলবে ।
আমার মতে আত্মহত্যার সব থেকে বড় প্রভাবক হলো সামাজিক বিড়ম্বনা । ইচ্ছা
করলে খুব সহজেই আপনি এই বড় বিড়ম্বনাকেও পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন । নিজেকে
নিজের জীবনের ডিসিশন মেকার বানান । কে কি বললো সেই কথা গায়ে না মেখে
নিজের উদ্যমে নিজের কাজ করে যান । সফল আপনি হবেনই । তা না হলে রবার্ট
ব্রুস তো আছেনই অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য । সামাজিক বিড়ম্বনার সব থেকে বড়
শিকার মেয়েরা । ইভটিজিং, ধর্ষণ কিংবা অন্যান্য নির্যাতনে জর্জরিত এই
কোমলমতিরা । তাদের জন্য বলছি, প্রতিবাদ শিখুন,শিখুন প্রতিরোধ । অপরাধ
যার,শাস্তি তার । আপনি কেন জীবন দিবেন ? মুখ খুলুন,মুখ খুলুন আইনের
কাছে,মুখ খুলুন মিডিয়ার কাছে । মনে রাখবেন,আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠিত
করা,আপনারই দায়িত্ব । এই দায়িত্ব অন্যের হাতে ছেড়ে দিলে অবস্থার পরিবর্তন
হবে না কখনোই ।
আত্মহত্যা প্রতিরোধে গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে সমাজ এবং পরিবারকে ।
আপনার সন্তানটি কিংবা পাশের বাসার ছেলেটি কি করছে,কি চাইছে এই বিষয়ে
খেয়াল রাখা আপনার দায়িত্ব । সন্তানদের উপর জোর করে চাপিয়ে দিবেন না কোন
কিছু । তাদের মানুষের সাথে মেলামেশার সুযোগ দিন, সুযোগ দিন সৃজনশীলতার
চর্চা করার । দেখবেন বাবার ঘাড়ের সব থেকে বড় বোঝা, ‘সন্তানের লাশ’ ওঠা
কমে গেছে ।
চলুন আত্মহত্যার কফিনে এবার শেষ পেরেকটি ঠুকে দেই । জেনে নেই আত্মহত্যা
সম্পর্কে কয়েকজন দার্শনিকের মতামত-
খ্রিষ্টধরমানুপ্রাণিত জি. কে. চেস্টারটন,আত্মহত্যাকে অভিহিত করেছেন “
চূড়ান্ত ও পরম শয়তান, অস্তিত্তের প্রতি আগ্রহ প্রত্যাখ্যান” হিসেবে । তার
মতে, যে লোকটি নিজেকে খুন করছে,সে আসলে পুরো একটি ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস করছে
।
ইমানুয়েল কান্ট-এর মতে, “যে আত্মহত্যা করার কথা ভাবছে, সে যেন নিজেকে
জিজ্ঞেস করে, তার এই হারিয়ে যাওয়া মানবজাতির উদ্দেশ্যের সাথে কতোটা
সামাঞ্জস্যপূর্ণ ?”
হবেস তার লেভিনাথ নামক গ্রন্থে বলেছেন, “ নিজের জীবন ধ্বংসকারী যে কোন
ক্রিয়াই প্রাকৃতিকভাবে নিষিদ্ধ ।”
এখনো কি ভাবছেন আত্মহত্যা করার কথা ? নিজের জীবনের সকল সিদ্ধান্ত নেওয়ার
অধিকার আপনার আছে । কিন্তু মনে রাখবেন, একবার চোখ বুজলেই পৃথিবী আপনাকে
ভুলে যাবে । তার চেয়ে বরং নিজের অস্তিত্বটাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করে
যাওয়া ভালো না ? ম্যান্ডেলা কিংবা রবীন্দ্রনাথের মতো কোটি হৃদয়ে বেঁচে
থাকতে ইচ্ছা করে না আপনার ? ভাবুন । ভেবে উত্তর দিন । নিজের কছে এই
উত্তরটা দেওয়া আপনার কর্তব্য । আশা করি কর্তব্য থেকে পিছ পা হবেন না ।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
জনপ্রিয় পোষ্ট
-
.সৃজনশীল মানে আপন সৃষ্টি. সৃজন শব্দের অর্থ হলো সৃষ্টি , আর শীল শব্দের অর্থ হলো নিজ। অর্থাৎ সৃজনশীল শব্দের সম্...
-
আত্মহত্যা - সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান তাকভির হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মৃ...
-
প্রিয়া জগদীশচন্দ্র রায় Unversity of Calcutta তুমি কেমন আছো? সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর হ’ল তোমাকে ছেড়ে এসেছি। আর এই ত্রিশ বছরে আমি বাধ্য হয়ে...
-
1 . আমরা যারা প্রাইমারি স্কুল পার করে , মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে কলেজে বা চাকরিতে আছি বা বসে আছি তাদের নিশ্চয় ...
khub sundor akta laka . sottekara somaj babosta vul potha agocca . arokon aro lake chai
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteআত্মহত্যা কথাটি শুনতেই কেমন যেন লাগে ।আমাদের নিজেদের জীবন শেষ করার ক্ষমতা অবশ্যই রয়েছে ৷ আত্মহত্যা যতটা সহজ মনে হয় ঠিক ততটা সহজ না। প্রচণ্ড বিষাদে আক্রান্ত না হলে একজন মানুষ আত্মহত্যা করার কথা ভাবতেই পারে না। আর বিষণ্ণতা ও তাঁর মধ্যে এক ধরনের তীব্র আশাহীনতা তৈরি করে। যার ফলে নিজেকে শাস্তি দিতেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। একটা কথা বলি জীবনটা আপনার একার নয়। আপনার উপর অধীকার আছে আপনার পরিবারের, আপনার স্বজন, আপনার বন্ধুদের। তাদের কথাও একটু ভাবেন। আত্মহত্যা কখনই সমাধান হতে পারে না। সুতরাং কেউ ভুলেও আত্মহত্যা কথা ভাবেন না।
ReplyDelete