সাইকো
সাইকোঅপরেশ পাল(অনুবাদ)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
part - 1
কর্কশ একঘেয়ে শব্দ রুমের দেয়ালে বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে চাপা গোঙানির একটা শব্দে শোনা যাচ্ছিলো। তবে এ মূহুর্তে শুধু হাড় কাটার একঘেয়ে শব্দটি শোনা যাচ্ছে। বিশাল একটা রুমের ঠিক মাঝ বরাবর একটা চেয়ার বসানো রয়েছে। চেয়ারটি ফ্লোরের সাথে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাই চাইলেও চেয়ারে বেধেঁ রাখা ছাব্বিশ বছর বয়সী মেয়েটি নড়ানোর কোন ক্ষমতা নেই। রুমে আরেকজন ব্যাক্তি রয়েছে। নিবিষ্ট মনে মেয়েটির পা একটি টুলের উপর রেখে ধারালো কড়াতের ব্লেড দিয়ে ঘসে যাচ্ছে। তার যেন বেঁচে থাকা, মরে যাওয়া এর উপর নির্ভর করতে। মেয়েটির ডান পা হাঁটুর উপর থেকে আলাদা করার পর শক্ত করে ব্যান্ডেজ করে অন্য পা কাটতে শুরু করলো লোকটি। মেয়েটির চেতনা কিছুক্ষণ আগে ফিরে এসেছে। কড়াত হাতে লোকটার উদ্যেশ্য বোঝার সাথে সাথে শরীরের সমস্ত শক্তি সঞ্জয় করে চিৎকার করার চেষ্টা করলো মেয়েটি। তবে উল্লেখযোগ্য কোন ফলাফল পাওয়া গেল না। মুখের ভিতরে ভালোভাবে কাপড় গুঁজে রাখার কারনে চিৎকার চাপা পরে গেল। আতঙ্কিত চোখে মেয়েটি লোকটির দিকে রইলো। তার চোখ বেয়ে টপাটপ পানি পরছে। বুঝতে পারছে তার কোন রক্ষা নেই। ষাট ওয়াটের বাল্বের আলোতে মেয়েটি স্পষ্ট দেখলো তার বাম পা টাও আলাদা করা হয়েছে। সময় নিয়ে এবার ব্যান্ডেজ করেলো লোকটি। বেশ কিছুক্ষণ তার কোন সাড়াশব্দ নেই। হঠাৎ করে ড্রিল মেশিনের শব্দ শুনে আঁতকে উঠলো মেয়েটি। এখন কি হবে তার? ড্রিল মেশিন দিয়ে নতুন কোন অত্যাচার করতে চায় তার উপর? নিজের শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে এসব ভেবে যখন মেয়েটি কূল পাচ্ছে না ঠিক তখন তার পিছনে এসে লোকটি দাঁড়ালো। কয়েক মূহুর্ত অপেক্ষা করে ড্রিল মেশিনটা চালু করলো লোকটি। তারপর আস্তে আস্তে মেয়েটির মাথার পিছনের অংশে চেপে ধরলো মেশিনটি। হাড় ছিদ্র হওয়ার ভয়ঙ্কর শব্দ ড্রিলমেশিনের শব্দ ছাপিয়ে শোনা যাচ্ছে। মেয়েটি অসহ্য যন্ত্রনা মাথা নাড়ানোর শেষ চেষ্টা করলো। কিন্তু তাকে এমনভাবে চেয়ারের সাথে আটকে রাখা হয়েছে যে মাথায়টা এক চুল নড়াচড়া করতে পারলো না। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো মেয়েটি। তবে লোকটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। ড্রিলমেশিন দিয়ে সে ক্রমাগত ছিদ্রের আকার বড় করে নিচ্ছে। ছিদ্র বড় হতে হতে এখন এতটা বড় হয়েছে যে এক যে কোন মানুষের মোটা দুই আঙ্গুল প্রবেশ করতে পারবে। হাতের ড্রিলমেশিনটা রেখে একটা প্লাস্টিক পাইপ ঠোঁটে লাগিয়ে নিলো লোকটি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পাইপের অপর প্রান্তে মেয়েটির মাথার সদ্য ছিদ্র করা ছিদ্রে প্রবেশ করালো। কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে পাইপে টান দিতে শুরু করলো সে। থোকা থোকা ব্রেইনের অংশ পাইপের মাঝে দিয়ে এসে তার গলার প্রবেশ করছে। দ্রুত খাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। এ মূহুর্তে তাকে দেখলো মনে হবে মেয়েটির ব্রেইন খাওয়াটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর মস্তিষ্ক খাওয়া তার পেশা। নিজের তৃপ্তি মিটিয়ে ব্রেইন গলাধঃকরণ করছে সে। থোকা থোকা জমাটবাঁধা মস্তিষ্ক পাইপের মধ্যে দিয়ে খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেল। লোকটি হাতে আবার ধারালো কড়াতটি তুলে নিলো। লাইটের আলোতে চিকচিক করছে সেটি। আস্তে আস্তে ডান হাতটি কাটতে শুরু করলো সে। খুব বেশি সময় লাগলো না হাতটি আলাদা করতে। এরপর অন্য হাতটি কাটতে শুরু করলো। ঘসঘস বিশ্রী শব্দ রুমের দেয়ালে বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। হাত আলাদা করার পর মাথা কাটতে শুরু করলো সে। কন্ঠনালীতে দ্রুত ব্লেড চালাচ্ছে। সাথে সাথে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। রক্তে ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে। তবে সেদিকে কোন ভুরুক্ষেপ নেই তার। লাশের ব্যবস্থা করা হলে গরম পানি দিয়ে রুম পরিষ্কার করলেই হবে। ছিটেফোঁটাও রক্তের দাগ থাকবে না তখন। তবে রক্তের দাগ থাকলেও কিছু আসে যায় না। এখানে কেউ এসে দেখার নেই। প্রশ্ন করার নেই কেন এখানে রক্ত পরে রয়েছে। তবে রক্তের একটা বাজে গন্ধ আছে কি না। সময়ের সাথে বিশ্রী গন্ধ ছড়ায়। তাজা রক্তই ভালো ভাবছে লোকটি। খেতেও ভালো লাগে। ভাবতে ভাবতে মেয়েটির মাথাটা আলাদা করে ফেললো লোকটি। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে সেখান থেকে। তবে গতিটা এখন একটু কম। মাথা ফ্লোরে রেখে মেয়েটির কাটা কন্ঠনালীতে মুখ লাগিয়ে রক্ত পান করতে লাগলো। খুব তৃষ্ণা পেয়েছে তার। আর এ তৃষ্ণা পানিতে মেটাবার না। রক্ত দিয়ে মেটানোর। তাজা রক্ত দিয়ে। রক্ত কিছুক্ষণ পান করার পর কন্ঠনালী থেকে মুখ তুলে নিলো লোকটি। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত এখনো সেখান থেকে পরছে। হাতে এবার একটা বড়সর ধারালো ছুরি তুলে নিলো সে। স্টিলের ছুরিটা একটু পর পর লাইটের আলো প্রতিফলন করছে। বুকের মাঝখানে এসে ছুরিটা আটকে গেল। হাতুড়ি দিয়ে ছুরির উল্টোপাশে আঘাত করতে থাকলো লোকটি। দশ বারোটা আঘাত করার পর ছুরিটা আবার এগুতে লাগলো। দেখতে দেখতে পুরো শরীরটা দুভাগ হয়ে গেল। লোকটি অনেক আগেই দড়ি খুলে নিয়েছিলো। যে দড়িগুলো মেয়েটিকে বাঁধবার জন্য সে ব্যবহার করেছিলো। তাই মেয়েটির শরীর আলাদা করে রাখতে খুব একটা অসুবিধা হলো না। রুমের ফ্লোরের আসল রঙ রক্তের লাল রঙে ঢেকে গিয়েছে। রক্ত গুলো এরমধ্যেই শুকাতে শুরু করছে। নাহ্ এবার রক্ত তুলতে বেশ কষ্ট হবে। বিড়বিড় করে নিজের মনেই কথাটা বললো লোকটি। মেয়েটির নগ্ন শরীরের দিকে তাকালো সে। মেয়েটিকে বাঁধার আগেই জামাকাপড়গুলো খুলে নিয়েছিলো সে। নাহলে কাটাকুটি করা বেশ ঝামেলা। মেয়েটির হৃদপিণ্ড স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। হাতের ছুরি দিয়ে হৃদপিণ্ডের শিরা ধমনী কেটে ফেললো সে। হৃদপিণ্ড হাতে নিলে দাঁড়ালো লোকটি। লাইটের আলোতে হৃদপিণ্ডের অলিন্দ আর নিলয় স্পষ্ট। হাতে হৃদপিণ্ডের উষ্ণতা অনুভব করছে সে। অল্প কিছুক্ষণ হয়েছে কি না, উষ্ণ থাকাটাই স্বাভাবিক। মুখটা বড় কে হা করে কাঁমড় বসিয়ে দিলো সে। অনেকটা রবারের মত পেশীগুলি কচকচ শব্দ তুলে সে চাবাতে থাকলো। কোন ভালো স্বাদ পাচ্ছে না লোকটি। তারপরও সে দ্বিতীয়বারের মত হৃদপিণ্ডে কাঁমড় দিলো । প্রায় পঁচিশ মিনিট হৃদপিণ্ড শেষ করতে লাগলো তার। রুমে লাশ লাশ একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গন্ধটা লোকটার খুব পছন্দের। পলিথিনের প্যাকেটে লাশের অংশগুলো পেঁচিয়ে নিতে লাগলো । লাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
জনপ্রিয় পোষ্ট
-
.সৃজনশীল মানে আপন সৃষ্টি. সৃজন শব্দের অর্থ হলো সৃষ্টি , আর শীল শব্দের অর্থ হলো নিজ। অর্থাৎ সৃজনশীল শব্দের সম্...
-
আত্মহত্যা - সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান তাকভির হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মৃ...
-
প্রিয়া জগদীশচন্দ্র রায় Unversity of Calcutta তুমি কেমন আছো? সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর হ’ল তোমাকে ছেড়ে এসেছি। আর এই ত্রিশ বছরে আমি বাধ্য হয়ে...
-
1 . আমরা যারা প্রাইমারি স্কুল পার করে , মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে কলেজে বা চাকরিতে আছি বা বসে আছি তাদের নিশ্চয় ...
Welcome to JTM Hub! Casino & Resort in New Mexico!
ReplyDeleteCome join us 인천광역 출장샵 at 화성 출장샵 JTM's New 계룡 출장샵 Mexico Resort 남원 출장안마 & Casino and enjoy the luxurious accommodations, world-class 군포 출장안마 entertainment, dining, and leisure