থিংক  ডিফারেন্ট

সমাজকে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব আমাদের সবার ।পৃথিবী আরো শান্তির স্থান হয়ে ওঠুক ,মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ,সহানুভূতিসহ সব মানবীয় গুণাবলী বাড়তে থাকুক ।নিত্য নতুন আবিষ্কারের নেশায় মেতে ওঠুক প্রজন্ম ।আর এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে 'থিংক ডিফারেন্ট ' ম্যাগাজিনের পথচলা ।

ইমা এখনো আছি তোমার প্রতীক্ষায়

No comments :
ইমা এখনো আছি তোমার প্রতীক্ষায় |||

আজম মোহাম্মদ


 সেদিন ইমার কোমল হাত ছুঁয়ে হাঁটার সুভাগ্য হয়েছিলো আমরা দুজন পদচিহ্ন এঁকে দিচ্ছিলাম বালির বুকে একপাশে ছিলো সমুদ্রের বিষাদী কল্লোল অন্য পাশে সবুজের প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঝাউবন। সেদিন আমরা বিষাদের কোনো উপত্যকায় ছিলাম না হঠাৎ ইমাকে প্রশ্ন করলাম……..
ইমা দেখছো ?
 আজিব!আমি অন্ধ নাকি  ?
না না।কিছু বলবো ?
গাধা! বলো। কি বলতে চাও।
ওই যে,  ওখানে ঢেউয়ের তালে তালে দোলিত যে ছোট্ট নৌকোটা ডুবুডুবু ওটার মতো যদি আমি ঢেউয়ের কাছে পরাজিত হয় কখনো ?
সেকি কবি হতে শিখেছো কবে মুচকি হেসে  
ইমা বলোনা,  প্লিজ
কি করবো আর। ডুবুরী হয়ে সমুদ্রের তলদেশে বিচরণ করবো আমার মুক্তা আহরণ করার জন্যে।
তাই নাকি ?
আর কিছু বললাম না।বললে যে ইমা রেগে যাবে তা জানতাম। আমরা এখন ঝাউবনের কচি কচি বৃক্ষরাজি ফাঁক করে হাঁটছি। এবার আমি আস্তে করে হাত ছাড়িয়ে নিলাম।
হাত ছাড়লে যে ?
না, এমনিতেই।  আরো একটু হাঁটলাম।হঠাৎ থেমে গেলাম আমি। ইমা আনমনে এগিয়ে যাচ্ছে। সে একাকীত্ব অনুভব করার সাথে সাথেই ফিরে তাকালো। এবার আমি জোরে জোরে হাঁটছি। ওর কাছে যেতেই শুনতে হলো অনুরাগের তপ্ত বাক্য। কিছু বললাম না।তারপর ………….. তখনো সন্ধ্যা নামেনি। তবু পাখিরা দল বেঁধে নীড়ে ফিরছে। সূর্যটা ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। তখনো হাঁটছি আমরা।
আচ্ছা ইমা,  ধরো,  চলার পথে আমাকে হঠাৎ থেমে যেতে হলো।তখন তুমি কি করবে ?
কি করবো মানে ? হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাবো । (গম্ভীর মুখেই বললো) আমি কিছু বললাম না অনেকক্ষণ  হঠাৎ হাত ধরে টান দিয়ে বললো
ওদিকে যাচ্ছো কোথায় ? দেখছো না, ওদিকে পানির কত বড়ো কূয়ো। ইমার হাতের ছোঁয়ায় আমি নিজেকে ফিরে পেলাম।
ইমা চলো ফিরে যাই।
চলো।আচ্ছা তুমি কি ভাবছিলে আমি এই উত্তর দিবো "আমিও তোমার সাথে থেমে যাবো। "?
কেন জানতো চাইছো এখন।
গাধা! যদি তাই বলতাম,তবে খুব খুশি হতে বুঝি! অথচ আমি তোমাকে যেভাবে কল্পনায় অনুভব করি তার চেয়ে আমার প্রানে, রক্তে, শিরা-উপশিরায় বেশি অনুভব করি তোমার উপস্থিতি। এখন নিজের উপর ঘৃণা জন্মালো।তখনি অবুঝ বালকের মতোই প্রশ্ন করলাম…….
ইমা, এত ভালোবাসো আমায় ?

না ঘৃণা করি।হাসতে হাসতে অকপটে বলে ফেললো। কিন্তু আমি জানি ওর হাসির গভীরতায় কি লুকিয়ে আছে।ততক্ষনে আমরা রাস্তার কাছাকাছি চলে এসেছি।এভাবেই চলতে লাগলো………… অতঃপর………….শুনলাম সে নাকি নিরবকে নিয়ে বেশ সুখেই আছে। জানতাম ভালবাসা এমনি হয়।যখন আষাঢ়-শ্রাবণে ঘোর বরষা নামে তখন প্রথম প্রথম ঝুম বৃষ্টি হলেও আস্তে আস্তে তার মাত্রা কমে আসে।শেষ অবধি থেমে যায়। আশার কথা হলো ঐ একি আকাশ হতে আবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।কিন্তু প্রথম যাকে ভালবাসা যায়,তার থেকে যে ভালবাসা পাওয়া যায় তা আর কারো কাছে পাওয়া যায়না।তাই আমি এখনো আছি ইমা তোমার প্রতীক্ষায়। তুমি আসবেনা আমি জানি। এতদিনে হয়ত বদলে গেছো অনেকখানি। অপেক্ষা করছি অবুঝের মতো । তবে কোনো ধোঁয়াটে নিকষ কালো রাতের বুকে ক্ষীণ আলো জ্বালিয়ে সিগারেটের বাক্স হাতে নয়। কেননা, একটা সিগারেটের কিছু বিষাক্ত ধোঁয়া আমার বিষাদকে মধুময় করতে পারবেনা। 



No comments :

Post a Comment

Thank you

জনপ্রিয় পোষ্ট