আবেগিক বুদ্ধি বাড়ানোর কৌশল
জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে আমরা ভিন্ন ভিন্ন অভিঙ্গতার
সম্মূখীন হই I কিছু অভিঙ্গতা এমন আছে যা আমাদের
মস্তিষ্কে ভাল অনুভূতির সৃষ্টি করে I যার ফলে আমরা আনন্দিত হই , সুখী অনুভব করি I অন্যদিকে খারাপ আর
বাজে অভিঙ্গতা গুল মস্তিষ্কে বাজে অনুভূতির সৃষ্টি করে I এবং আমরা অসুখী হয়ে
পড়ি I
আমাদের বর্তমান অবস্থা আমাদের চিন্তা আর অনুভূতির সমষ্টি I আমরা আমাদের চিন্তা
বদলে ফেললে , অনুভূতি বদলে যাবে I আমরা আমাদের
অনুভূতিকে বদলে এই মুহুর্তে সুখী অথবা অসুখী হতে পারি I
যে ব্যাক্তি তার জীবন কে যত সহজ ভাবে নির্বাহ করে সে ব্যাক্তি তত বেশি
সুখী I জীবন কে সুখী করতে হলে আমাদের বুঝতে হবে কোন জিনিস গুল আমাদের মাঝে
সুখ বয়ে আনে , আবার কোনগুল টেনশন সৃষ্টি করে I আমাদের জীবনকে আমরা
নিজেদের মত করে সাজাতে পারি I যে অভিঙ্গতা গুল আমাদের সুখী করে সেগুল
দিয়ে জীবন কে সাজাতে পারি, এবং যেগুল সুখ বিনষ্ট কারী সেগুল পাশ কাটিয়ে চলে
যেতে পারি I
এই শতাব্দীর রহস্যপূর্ন কিছু গল্পের মধ্যে এই গল্পটি অন্যতম ...........
পৃথিবী যখন ঊৎকর্ষের চরম সীমায় পৌছে যাচ্ছে , মানুষের সৃষ্টিশীল
চেতনা বাড়ছে | এই সময়ের দিকে দুইজন মধ্য বয়স্ক লোক ভাবছে কীভাবে
তারা এই পৃথিবীটাকে আর সুন্দর এবং শান্তিময় করে তুলতে পারে ? তারা দুইজন তাদের
ভাবনা অনুসারে কাজ শুরু করল I কিছুদিন চলার পর প্রথমজন বেশ কিছু কাজ করল
এবং তার জন্য বেশ প্রশংসা ও পেল I অপর দিকে দ্বিতীয়জন আরও কিছুটা বেশি
গ্রহনযোগ্যতা এবং প্রশংসা পেল প্রথম ব্যাক্তির থেকেও I এভাবে কিছুদিন কাটতে
লাগল এবং দেখা গেল দ্বিতীয়জন প্রথমজন অপেক্ষা বেশি সফল ও এবং প্রশংসা পাচ্ছে I এটা দেখে প্রথমজনের
মনে একটা প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হল I এবং মনে মনে সে দ্বিতীয় ব্যাক্তি অপেক্ষা
বেশি প্রশংসা পাবার বাসনা লালন করতে লাগল I এবং এভাবে আরও কিছুদিন সময় অতিবাহিত হবার
পর প্রথম ব্যাক্তির মনে বেশি প্রশংসা পাবার বাসনা তীব্র হতে লাগল I আর অদ্ভূদ ভাবে দেখা
গেল সে মনের অজান্তেই দ্বিতীয় ব্যাক্তির দোষ খোজা শুরু করেছে I দোষ খুজতে খুজতে
এবার সে ভাবতে শুরু করল কেন দ্বিতীয় ব্যাক্তি সফল হতে পারবে না ? দিন দিন এ কুচিন্তা
গুল তার মাঝে প্রকট আকার ধারন করল I কিছু বছর পর দেখা গেল প্রথম ব্যাক্তি
কিছুই করতে পারল না I কিন্তু দ্বিতীয় ব্যাক্তি অনেক এগিয়ে গেছে কারন সে
নিজের উপর অস্থা রেখে এগিয়ে ছিল I
গ্রীসের একজন দার্শনিক আজ থেকে অনেক বছর পূর্বে এই কথা গুল পাথরের গায়
লিখে রেখে ছিল……………………….
আমরা যখন অন্য ব্যাক্তির সফলতা দেখে তার সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ি
তখন মূলত আমরা নিজেদের ক্ষতি করি I কিছু কাজ করার পর যখন আমরা ভাল ফলের আশা
করি এবং অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ি তখন আমাদের মাঝে ইগো, ঈর্শ্বা, হিংসা এই প্রবৃত্তি
গুল জেগে ওঠে I
ঈর্শ্বা যখন আমাদের মাঝে প্রকট হয় তখন অন্যের দোষ খোজার
দিকে দৃষ্টি দিয়ে ফেলি I অন্যকে দূর্বল করে দেওয়ার কথা ভাবতে থাকি I এ অবস্থায় আমরা
আমাদের চিন্তাশক্তি অন্যের দোষ খোজায় এবং অন্যকে দূর্বল করে দেওয়ার চিন্তায় ব্যায়
করি I অপরের দোষ নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ভেবে যাই | এভাবে আমাদের
চিন্তাশক্তি ব্যায় করি, আমাদের চিন্তাশক্তি অপচয় করি I নিজেদের মূল্যবান
সময় নষ্ট করি | নিজেদের জীবনের মূল লক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি I যার কারনে, আমাদের ব্যার্থ হবার
সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায় I কাজের ব্যার্থতা আমাদের আরও বিদ্বেষপূর্ন বানিয়ে
ফেলে I জন্ম নেয় নেতিবাচক আবেগ I যেটা আমাদের আরও খারাপ পরিস্থিতিতে নিয়ে
যায় I
ডক্সিন ,
আমরা যার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করি আমরা তাকেই সৃষ্টি করে ফেলি I প্রকৃত পক্ষে আমরা
যদি শুধুমাত্র নেতিবাচক দিকগুলোর দিকে নজর দিই তবে আমরা আমাদের কোন ঊপকারই করতে
পারব না I আমরা যখন অন্যদের দোষ খুজে তাকে ড্যামেজ করে
দেওয়ার কথা ভাবতে থাকি I তখন মূলত আমরা
আমাদের নিজেদের ড্যামেজ করে দিই I
নীড ডোনাল্ড ,
আনন্দ, হাসি, সুখ, ভালবাসা এসবই জীবন I একটা পথ শিশুকে
একবেলা পেট পুরে খেতে দিলে সে আনেক খুসি হয় I আর আমরা শিশুটার
খুসি দেখে আনন্দিত হই I যুগ যুগ ধরে মনিষীরা এই সত্যকে তুলে ধরতে
চেয়েছেন I
একজন দার্শনিক বলেছেন ……………….
তুমি তোমার শত্রুদের কথা ভেবে নিজের মনের সুখ নষ্ট কর না I আমরা যদি শুধু
শান্তি , প্রেম, ভালবাসা এসবের দিকে দৃষ্টি দিই তবে আমাদের
জীবনও সেরকম হয়ে উঠবে I জীবনের খাতা আর কলম আমাদের হাতে আমরা
যেভাবে জীবনের গল্প লিখব জীবন সেরকম হবে I
প্রাচীন গ্রীকদের সময়ে একটা ছেলে বালক বয়সে চাইছিল সে তার জীবনকে হাসি , আনন্দ আর উৎকর্ষতায়
ভরিয়ে রাখবে …….
তাই সে কখনও নেশা জাতীয় খাবার খেত না I কারন এগুল খাবার ফলে
তার জীবনে অনেক খারাপ কিছু অভিঙ্গতা ঘটতে পারত I সে কখনও খারাপ
ছেলেদের সাথে মিশত না কারন খারাপ সঙ্গের সাথে মিশলে তার ও খারাপ হবার সম্ভাবনা ছিল I এসব ঘটনা সে পাশ
কাটিয়ে চলে গিয়েছিল I যাতে এসব বাজে অভিঙ্গতা তার জীবন থেকে মূল্যবান
সময় এবং সম্ভাবনা কেড়ে নিতে না পারে I জীবনে এমন অভিঙ্গতা ঘটতে দেওয়া উচিৎ না
যেটা আমাদেরকে হিংস্র মানুষে পরিনত করে I
জীবনে সেই লাইন কে পাশ কাটিয়ে যাও যা তোমার জীবন
কে হিংস্র বানাতে পারে I
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
জনপ্রিয় পোষ্ট
-
.সৃজনশীল মানে আপন সৃষ্টি. সৃজন শব্দের অর্থ হলো সৃষ্টি , আর শীল শব্দের অর্থ হলো নিজ। অর্থাৎ সৃজনশীল শব্দের সম্...
-
আত্মহত্যা - সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান তাকভির হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মৃ...
-
প্রিয়া জগদীশচন্দ্র রায় Unversity of Calcutta তুমি কেমন আছো? সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর হ’ল তোমাকে ছেড়ে এসেছি। আর এই ত্রিশ বছরে আমি বাধ্য হয়ে...
-
1 . আমরা যারা প্রাইমারি স্কুল পার করে , মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে কলেজে বা চাকরিতে আছি বা বসে আছি তাদের নিশ্চয় ...
No comments :
Post a Comment
Thank you