থিংক  ডিফারেন্ট

সমাজকে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব আমাদের সবার ।পৃথিবী আরো শান্তির স্থান হয়ে ওঠুক ,মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ,সহানুভূতিসহ সব মানবীয় গুণাবলী বাড়তে থাকুক ।নিত্য নতুন আবিষ্কারের নেশায় মেতে ওঠুক প্রজন্ম ।আর এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে 'থিংক ডিফারেন্ট ' ম্যাগাজিনের পথচলা ।

আমাদের কি বড় হতে দেওয়া হবে না?

1 comment :
আমাদের কি বড় হতে  দেওয়া হবে না? অামাদের বাবা মা অার কতো কষ্ট করবে?তারা অামাদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে চালাতে এখন ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।বর্তমানে একটা ছেলে বা মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালানো গরীব বাবা মার কাছে রীতিমতো যুদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থার মূল কারনের একটা অামাদের সমাজের বাইরে মধ্যবিত্ত কিন্তু ধনী শিক্ষক যাদের বলা যায় এক প্রকার ব্যবসায়ী।অামাদের সরকার ধনী গরীব সবার সমানভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুল কলেজ তৈরী করেছেন।প্রচুর বেতন দিয়ে তাদের রেখেছেন সবাইকে সর্বোত্তম শিক্ষা দেওয়ার জন্য।কিন্তু তারা কি তাদের দায়িত্ব  ঠিক ভাবে পালন করছেন?বোধহয় তাদের বেতন দিয়ে রাখা হয়েছে স্কুলকলেজ গিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য।অার তাদের মূল্যবান পণ্যটা  হলো সাজানো গোছানো শিক্ষা দেওয়া এবং কোম্পানিগুলো হলো ব্যাচ,কোচিং এগুলো।অামাদের সম্মানিত শিক্ষকরা কলেজ অাসে বলতে গেলে অন্যান্য কাজ থেকে বিশ্রাম নিতে অার সময় মতো ক্লাসে গিয়ে স্টুডেন্টদের সাথে অাড্ডা দিতে যদি কয়েকজন গরীব স্টুডেন্ট কিছু পাওয়ার অাসায় বসে থাকে।কিন্তু তারা তাদের মূল্যায়ন জ্ঞান কী বিনা সার্থে বিতরন করতে রাজি? তারা তো কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নন।কারন মাস গেলে তাদের বেতন ঠিক পাবেন।অার তাদের কাছে কিছু জানতে চাইলে বলেন 'অামি এখানে ব্যাচ করাই সেখানে  কোচিং করাই তুমি যেতে পারো অনেক স্টুডেন্ট পড়াই।কিন্তু কীভাবে  একটা গরীব স্টুডেন্ট ৫০০০-৬০০০/- দিয়ে ব্যাচ বা কোচিং করবে?যার মা বাবার নাই ৬০০০/- মাসিক অায়।অার কেনইবা অামাদের গরীবের টাকা দিয়ে তাদের স্কুল কলেজে রাখা হয়েছে?তাই শিক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়াটা হয়ে  উঠেছে ধনী গরীবের প্রতিযোগিতার স্থান। ফলে এখানে গরীব মেধাবী স্টুডেন্ট ঝড়ে পরছে এবং দারিদ্র্যতাকে দায়ি করছে অন্যদিকে কম মেধাবী ধনী স্টুডেন্ট প্রতি সাবজেক্টে ব্যাচ করে,কোচিং করে,বাসায় স্যার রেখে ভালো রেজাল্ট করে বা না করে ভালো স্থানে পৌছচ্ছে টাকার জোরে। অার একই ক্লাসের একটা গরীব ছেলের বাবা বাধ্য হচ্ছে ভোরে ঘুম ভাঙিয়ে ছেলেকে রিকশা চালানোর জন্য পাঠাতে।হ্যা অামাদের  মাঝে এখনো অনেক প্রকৃত সম্মানীয় শিক্ষক অাছে তারা এবং অামরা সবাই এগিয়ে  এসে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি তাহলে তাদের দুৃর্নীতিটা বন্ধ করা যাবে।






writer : Pallobi roy
 dhaka medical college

1 comment :

  1. পল্লবী, লেখাটিতে খুব সত্য কথা, খুব স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছো ।তোমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ।আরো লেখো ।

    ReplyDelete

Thank you

জনপ্রিয় পোষ্ট