আবেগের সীমাবদ্ধতা
আবেগের সীমাবদ্ধতা.................
প্রতিদিন সমাজের
একটু একটু করে পরিবর্তন হয়ে চলেছে। প্রতিদিনের এই ছোট ছোট পরিবর্তন আমাদের চোখে
হয়ত ধরা পড়ে না । একবারে
যদি খুব ছোট্ট পরিবর্তন এর দিকে খেয়াল করি তবে পরিবর্তন টা বুঝতে একটু কষ্ট হবে । কিন্তু একবারে যদি একটু বড় পরিবর্তন এর দিকে
খেয়াল করি তবে সব কিছু স্পষ্ঠ হবে । যেমনঃ গত ১ দিন বা ১ মাসে কতটা পরিবর্তন হয়েছে সেটা না
ভেবে যদি ভাবি গত ১০ বছরে কতটা পরিবর্তন হয়েছে বা গত ১০০ বছরে কতটা পরিবর্তন হয়েছে ।
প্রতিদিনের ছোট ছোট
পরিবর্তন গুল আমরা ধরতে পারি না । কিন্তু প্রতিনিয়তই ছোট ছোট পরিবর্তন ঘটছে । হঠাৎ
কিছু বছর পর আমরা একটা বড় পরিবর্তন দেখতে পাই । তখনই মনে হয় অনেক কিছু বদলে গেছে ।
কিছু বছর পর আমরা একটা বড় পরিবর্তন দেখতে পাই । তখনই মনে হয় অনেক কিছু বদলে গেছে ।
আজকের সমাজ
ব্যাবস্থা কীভাবে মোড় নিবে আগামী দিনগুলতে ।
আজ থেকে ১০০ বছর বা ১০০০ বছর পর কেমন হবে মানুষের চিন্তা ভাবনা ? কিছু বছর
আগে আমরা যে ধরনের গান শুনতাম বা সিনেমা দেখতাম এখন সেগুল আর বেশি ভাল লাগে না।
আমাদের আগের প্রজন্ম যেভাবে তাদের অবসর সময় কাটাত আমরা সেভাবে কাটাই না ।পাল্টে
যাচ্ছে আমাদের গান বা সিনেমা দেখার ধরন । আমরা এখন অনেকটা যন্ত্রের দিকে ঝুকে
পড়েছি ।স্পষ্টত একটা পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুতেই । পারসনাল কম্পিউটর এর ছড়াছড়ি
খুব বেশি দিনের নয় । কিছু বছর আগেও পারসনাল কম্পিউটর খুব কম লোকের কাছে ছিল । আজ
স্মার্ট ফোন সবার হাতে হাতে । একবারও কি ভেবেছি আজ থেকে আরও ১০০ বছর পর কেমন হবে
আমাদের আবাসভূমি ? পরিবর্তনটা কেমন হবে ? কতটা পরিবর্তন হতে পারে ?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে
পরিবর্তনটা কেন হচ্ছে? এখন কিছু উদাহরন দেখা যাক, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুল তাদের
পন্য পরিবর্তন করে উন্নত করছে কারন তাদের বাজারে টিকে থাকতে হবে । আমরা কম্পিউটর
ব্যাবহার করছি কারন শিক্ষা গ্রহন প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে চাই । উন্নত পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য । অর্থাত, সময়ের স্রতের
সাথে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে । টিকে থাকার জন্য প্রানিকূল নিজেকে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন
করছে । গাছপালার ক্ষেত্রে অভিযোযন সংঘটিত হচ্ছে ।এসবের একটাই কারন শুধু পৃথিবীর
বুকে টিকে থাকতে চাই ।
“Survival
of the fittest” এই তত্ত্ব টা ডারউইনের “evolutionary theory” থেকে উদ্ভুত ।ডিকশনারিতে কথাটার বাংলা অর্থ
“যোগ্যতমের বেচে থাকা” এরকম দেওয়া আছে । কিন্তু এটাকে আমরা আরও সুন্দর করে এভাবে
“পৃথিবীতে একমাত্র যোগ্যরাই টিকে থাকবে” বলতে পারি ।
এখন একটা খুবই আশ্চার্যপূর্ন উদাহরন দিব ।
খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর আগে প্রাচীন মিশরের “ফারাওরা” (ফারাওরা তখন মিশর শাসন করত )
গিজায় পিরামিড নির্মান করেছিল ।এবং এই পিরামিড এখনও সপ্তম আশ্চার্যের একটি । তখনকার দিনের মিশরের প্রকৌশলীদের বুদ্ধিমত্তা
তখনকার সময়কে ছাড়িয়ে গেছিল। এবং তার
প্রমান আজও পৃথিবীতে রয়ে গেছে ।আর এই কারনে আজকের দিনের সেরা বুদ্ধিমানরা তাদের নির্মিত
স্থাপত্যকে সপ্তম আশ্চার্যের তালিকায়
স্থান দিয়েছে ।ঠিক একই রকম ভাবে আরও এরকম নিদর্শন পাওয়া যাবে যা
আজকের দিনেও আমাদের ভাবিয়ে তোলে । এখান থেকে খুব সহজে বলতে পারি সর্বপেক্ষা যোগ্যই
একমাত্র টিকে থাকবে । সমাজে সর্বপেক্ষা বুদ্ধিমানদের যুক্তিই একমাত্র টিকে থাকবে
।টিকে থাকার যুদ্ধে যে যত বেশি যোগ্য হবে সেই তত বেশি দিন টিকে থাকবে । আবেগ দিয়ে কখনও টিকে থাকার যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায়
না । এখানে আবেগের ভূমিকা শূন্য ।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
জনপ্রিয় পোষ্ট
-
.সৃজনশীল মানে আপন সৃষ্টি. সৃজন শব্দের অর্থ হলো সৃষ্টি , আর শীল শব্দের অর্থ হলো নিজ। অর্থাৎ সৃজনশীল শব্দের সম্...
-
আত্মহত্যা - সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান তাকভির হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মৃ...
-
প্রিয়া জগদীশচন্দ্র রায় Unversity of Calcutta তুমি কেমন আছো? সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর হ’ল তোমাকে ছেড়ে এসেছি। আর এই ত্রিশ বছরে আমি বাধ্য হয়ে...
-
1 . আমরা যারা প্রাইমারি স্কুল পার করে , মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে কলেজে বা চাকরিতে আছি বা বসে আছি তাদের নিশ্চয় ...
No comments :
Post a Comment
Thank you