থিংক  ডিফারেন্ট

সমাজকে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব আমাদের সবার ।পৃথিবী আরো শান্তির স্থান হয়ে ওঠুক ,মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ,সহানুভূতিসহ সব মানবীয় গুণাবলী বাড়তে থাকুক ।নিত্য নতুন আবিষ্কারের নেশায় মেতে ওঠুক প্রজন্ম ।আর এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে 'থিংক ডিফারেন্ট ' ম্যাগাজিনের পথচলা ।

হে প্রিয়, হে মোর জন্মভূমি, হে মোর বঙ্গভূমি।

2 comments :
প্রিয়া
জগদীশচন্দ্র রায়
Unversity  of  Calcutta
তুমি কেমন আছো? সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর হ’ল তোমাকে ছেড়ে এসেছি। আর এই ত্রিশ বছরে আমি বাধ্য হয়েছি অন্যকে ভাল বাসতে, আপন করে নিতে। এখন, সেই আমার সব কিছু। কিন্তু তবুও আমি কিছুতেই ভুলতে পারিনা তোমাকে। কারণ, আমি অনেক কিছু পেলেও তুমি যা দিয়েছিলে সেটাকে আমৃত্যু মনে রাখতে চাই। মাঝে মাঝে মনে হয় ছুটে যাই তোমার কাছে। কিন্তু, আমি বন্দি হয়ে আছি নিয়ম কানুন আর কাঁটা তারের শৃঙ্খলে। তোমার আমার মাঝের বিভেদের এই দেওয়ালটা অনেক উঁচু। হয়তঃ এর উচ্চতা বাড়বে বই কমবে না। তবুও আমার সব চেয়ে বেশি দুঃখ কিসে জানো কি তুমি? সেটা হচ্ছে, তোমার কথা নির্দিধায় বলতেও পারিনা ভয়ে। তোমার আমার মাঝে মিলন হয়তঃ আর হবেনা! তবুও তোমার রূপের সৌন্ধর্য, আমাকে মাঝে মাঝে পাগল করে তোলে। নিজের অজান্তে চলে যাই তোমার কাছে। আমি এখনও যেন দেখতে পাই তোমার সেই সৌন্ধর্যকে অন্তরে অন্তরে। তবে জানি, এখন আর হয়তঃ আমি তোমাকে চিনতে পারবনা। বিবর্তন ও পরিবর্তনে এক সময়ের রূপ হারিয়া যায় কালের করাল গ্রাসে। তবুও আজকের তোমাকে চিনতে নাপারলেও আমার সেই পুরানো স্মৃতিকে বার বার মন্থন করে তৃপ্তি পেতে চাই। কারণ, তোমার রূপ রসইতো আমাকে তৈরী করছে হে প্রিয়, হে মোর জন্মভূমি, হে মোর বঙ্গভূমি।



আবেগিক বুদ্ধি বাড়ানোর কৌশল

No comments :
                    আবেগিক বুদ্ধি বাড়ানোর কৌশল পর্ব -


জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে আমরা ভিন্ন  ভিন্ন অভিঙ্গতার সম্মূখীন হই I কিছু অভিঙ্গতা  এমন আছে যা আমাদের মস্তিষ্কে ভাল অনুভূতির সৃষ্টি করে I যার ফলে আমরা আনন্দিত হই , সুখী অনুভব করি I অন্যদিকে খারাপ আর বাজে অভিঙ্গতা গুল মস্তিষ্কে বাজে অনুভূতির সৃষ্টি করে I এবং আমরা অসুখী হয়ে পড়ি I 



আমাদের বর্তমান অবস্থা আমাদের চিন্তা আর অনুভূতির সমষ্টি I আমরা আমাদের চিন্তা বদলে ফেললে , অনুভূতি বদলে যাবে  I আমরা আমাদের অনুভূতিকে বদলে এই মুহুর্তে সুখী অথবা অসুখী হতে পারি I



যে ব্যাক্তি তার জীবন কে যত সহজ ভাবে নির্বাহ করে সে ব্যাক্তি তত বেশি সুখী I জীবন কে সুখী করতে হলে আমাদের বুঝতে হবে কোন জিনিস গুল আমাদের মাঝে সুখ বয়ে আনে , আবার কোনগুল টেনশন সৃষ্টি করে  I   আমাদের জীবনকে আমরা নিজেদের মত করে সাজাতে পারি I যে অভিঙ্গতা গুল আমাদের সুখী করে সেগুল দিয়ে জীবন কে সাজাতে পারিএবং যেগুল সুখ বিনষ্ট কারী সেগুল পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারি I




এই শতাব্দীর রহস্যপূর্ন কিছু গল্পের মধ্যে এই গল্পটি অন্যতম ...........

পৃথিবী যখন ঊৎকর্ষের চরম সীমায় পৌছে যাচ্ছে , মানুষের সৃষ্টিশীল চেতনা বাড়ছে | এই সময়ের দিকে দুইজন মধ্য বয়স্ক লোক ভাবছে কীভাবে তারা এই পৃথিবীটাকে আর সুন্দর এবং শান্তিময় করে তুলতে পারে ?  তারা দুইজন তাদের ভাবনা অনুসারে কাজ শুরু করল I কিছুদিন চলার পর প্রথমজন বেশ কিছু কাজ করল এবং তার জন্য বেশ প্রশংসা ও পেল I অপর দিকে দ্বিতীয়জন আরও কিছুটা বেশি গ্রহনযোগ্যতা এবং প্রশংসা পেল প্রথম ব্যাক্তির থেকেও I  এভাবে কিছুদিন কাটতে লাগল এবং দেখা গেল দ্বিতীয়জন প্রথমজন অপেক্ষা বেশি সফল ও এবং প্রশংসা পাচ্ছে I এটা দেখে প্রথমজনের মনে একটা প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হল I এবং মনে মনে সে দ্বিতীয় ব্যাক্তি অপেক্ষা বেশি প্রশংসা পাবার বাসনা লালন করতে লাগল I এবং এভাবে আরও কিছুদিন সময় অতিবাহিত হবার পর প্রথম ব্যাক্তির মনে বেশি প্রশংসা পাবার বাসনা তীব্র হতে লাগল I আর অদ্ভূদ ভাবে দেখা গেল সে মনের অজান্তেই দ্বিতীয় ব্যাক্তির দোষ খোজা শুরু করেছে I দোষ খুজতে খুজতে এবার সে ভাবতে শুরু করল কেন দ্বিতীয় ব্যাক্তি সফল হতে পারবে না ? দিন দিন এ কুচিন্তা গুল তার মাঝে প্রকট আকার ধারন করল I কিছু বছর পর দেখা গেল প্রথম ব্যাক্তি কিছুই করতে পারল না I কিন্তু দ্বিতীয় ব্যাক্তি অনেক এগিয়ে গেছে কারন সে নিজের উপর অস্থা রেখে এগিয়ে ছিল I



গ্রীসের একজন দার্শনিক আজ থেকে অনেক বছর পূর্বে এই কথা গুল পাথরের গায় লিখে রেখে ছিল……………………….



আমরা যখন অন্য ব্যাক্তির সফলতা দেখে তার সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ি তখন মূলত আমরা নিজেদের ক্ষতি করি I কিছু কাজ করার পর যখন আমরা ভাল ফলের আশা করি এবং অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ি তখন আমাদের মাঝে ইগোঈর্শ্বাহিংসা এই প্রবৃত্তি গুল জেগে ওঠে I



ঈর্শ্বা যখন আমাদের মাঝে প্রকট হয় তখন  অন্যের দোষ খোজার দিকে দৃষ্টি দিয়ে ফেলি I অন্যকে দূর্বল করে দেওয়ার কথা ভাবতে থাকি I এ অবস্থায় আমরা আমাদের চিন্তাশক্তি অন্যের দোষ খোজায় এবং অন্যকে দূর্বল করে দেওয়ার চিন্তায় ব্যায় করি I অপরের দোষ নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ভেবে যাই |  এভাবে আমাদের চিন্তাশক্তি ব্যায় করিআমাদের চিন্তাশক্তি অপচয় করি I নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করি | নিজেদের জীবনের মূল লক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি I যার কারনে,   আমাদের ব্যার্থ হবার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায় I কাজের ব্যার্থতা আমাদের আরও বিদ্বেষপূর্ন বানিয়ে ফেলে I জন্ম নেয় নেতিবাচক আবেগ I যেটা আমাদের আরও খারাপ পরিস্থিতিতে নিয়ে যায় I



ডক্সিন ,


আমরা যার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করি আমরা তাকেই সৃষ্টি করে ফেলি I প্রকৃত পক্ষে আমরা যদি শুধুমাত্র নেতিবাচক দিকগুলোর দিকে নজর দিই তবে আমরা আমাদের কোন ঊপকারই করতে পারব না I আমরা যখন অন্যদের দোষ খুজে তাকে ড্যামেজ করে দেওয়ার কথা ভাবতে থাকি I তখন মূলত আমরা আমাদের নিজেদের ড্যামেজ করে দিই I


নীড ডোনাল্ড ,


আনন্দহাসিসুখভালবাসা এসবই জীবন I একটা পথ শিশুকে একবেলা পেট পুরে খেতে দিলে সে আনেক খুসি হয় I আর আমরা শিশুটার খুসি দেখে আনন্দিত হই I যুগ যুগ ধরে মনিষীরা এই সত্যকে তুলে ধরতে চেয়েছেন I


একজন দার্শনিক বলেছেন ……………….


তুমি তোমার শত্রুদের কথা ভেবে নিজের মনের সুখ নষ্ট কর না I আমরা যদি শুধু শান্তি , প্রেমভালবাসা এসবের দিকে দৃষ্টি দিই তবে আমাদের জীবনও সেরকম হয়ে উঠবে I জীবনের খাতা আর কলম আমাদের হাতে আমরা যেভাবে জীবনের গল্প লিখব জীবন সেরকম হবে I


প্রাচীন গ্রীকদের সময়ে একটা ছেলে বালক বয়সে চাইছিল সে তার জীবনকে হাসি , আনন্দ আর উৎকর্ষতায় ভরিয়ে রাখবে …….


তাই সে কখনও নেশা জাতীয় খাবার খেত না I কারন এগুল খাবার ফলে তার জীবনে অনেক খারাপ কিছু অভিঙ্গতা ঘটতে পারত I সে কখনও খারাপ ছেলেদের সাথে মিশত না কারন খারাপ সঙ্গের সাথে মিশলে তার ও খারাপ হবার সম্ভাবনা ছিল I এসব ঘটনা সে পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছিল I যাতে এসব বাজে অভিঙ্গতা তার জীবন থেকে মূল্যবান সময় এবং সম্ভাবনা কেড়ে নিতে না পারে I  জীবনে এমন অভিঙ্গতা ঘটতে দেওয়া উচিৎ না যেটা আমাদেরকে হিংস্র মানুষে পরিনত করে I 



জীবনে সেই লাইন কে পাশ কাটিয়ে যাও যা তোমার জীবন কে হিংস্র বানাতে পারে I





সাইকো

No comments :

সাইকো

অপরেশ পাল (অনুবাদ)
paart - 3


রুমে তিনটি জীবিত প্রানীর শ্বাসপ্রশ্বাস শোনা যাচ্ছে। একজন চেয়ারে বাঁধা। আরেকজন বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে পরে রয়েছে। চেয়ারে বাধা মেয়েটির নাম নাদিয়া। বয়সটা কমই বলা যায়, মাত্র চব্বিশ। অল্প কিছুদিন হয়েছে সে মিডিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছে। ফ্লোরে পরে থাকা মেয়েটির বয়স চার। নাদিয়ার মেয়ে। মেয়েটি না বলেই বাচ্চা বলাটাই মানানসই। কিউট দুধের মত ফর্সা একটা বাচ্চা। ফ্লোরে পরে থাকার কারনে বাচ্চার গাল লাল হয়ে গিয়েছে। রুমের তৃতীয় লোকটি তার হাতের কুড়াল নিয়ে নাদিয়ার সামনে চলে আসলো। ফ্লোরে পরে থাকা বাচ্চার মত সে চেতনাহীন অবস্থায় রয়েছে। চেয়ারের সামনে রাখা এক বালতি পানি নাদিয়ার দিকে ছুড়ে মারলো লোকটি। দ্রুত উঠে বসার চেষ্টা করলো নাদিয়া। কিন্তু বাঁধা থাকার কারনে সেটা সম্ভব হয়ে উঠলো না। চিৎকার দিতে গিয়ে নাদিয়া বুঝতে পারলো তার মুখের ভিতরে কিছু একটি গুঁজে দেওয়া হয়েছে। যার কারনে কোন শব্দ বের করতে পারলো না সে। শুধু কয়েকবার গো গো আওয়াজ বের হলো । নাদিয়া সামান্য সামনে তার মেয়েকে পরে থাকতে দেখলো। কি হচ্ছে এখানে দ্রুত ভেবে যাচ্ছে সে । কুড়াল হাতে লোকটি তার বাচ্চার পাশে এসে দাড়ালো। বাচ্চাটাকে তুলে আনার কোন ইচ্ছে তার ছিলো না। কিন্তু নাদিয়া কে যখন পিছনে থেকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে গাড়িতে তুলতে যাবে এমন সময় পিচ্চিটা কোথায় থেকে চলে আসে। হয়তো বাবার কাছে থেকে মায়ের কাছে এসেছিলো। নাদিয়ার স্বামী তখন দোকানে কি যেন কিনছিলো। বাচ্চা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করেনি সে। একেও ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে গাড়িতে তুলে নেয়। তারপর এখানে নিয়ে এসেছে। বাচ্চাকে এভভাবে তুলে নিয়ে আসার কোন প্লান তার ছিলো না। কিন্তু বাচ্চা তার চেহারা দেখেছে। রিস্ক নেওয়া যায় না, যতই ছোট হোক না কেন। তবে সেটা নিয়ে এখন লোকটির কোন আপত্তি নেই। এ মূহুর্তে তার মাথায় সুন্দর একটা প্লান এসেছে । বাচ্চার পেট বরাবর লোকটি তার বুট পরা পা দিয়ে গায়ের জোরে লাথি মারলো। বাচ্চা মেয়েটি জ্ঞান কিছুক্ষণ আগে ফিরে এসেছিলো । লাথির প্রচন্ড আঘাতে চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু তার টেপ প্যাঁচানো মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হলো না। পা দিয়েই চার বছরের বাচ্চা মেয়েটির সোজা করলো লোকটি। হাতের কুড়াল টা ষাট ওয়াটের বাল্বের আলোতে চকচক করছে। কপালের একটু উপরে সেটা সে মাপমতো ধরলো। তারপর ধীরেসুস্থে ভারসাম্য রেখে লোকটি নিজের পিছনে কুড়ালটি নিয়ে আসলো। তার দিকে দুই জোড়া চোখ তাকিয়ে রয়েছে। নাদিয়া ও তার চার বছরের বাচ্চা মেয়েটি। নাদিয়া বিশ্বাস করতে পারছে না এটা সত্যিই হতে যাচ্ছে। সত্যিই সামনে দাঁড়ানো অপরিচিত লোকটি তার আদরের বাচ্চাটার মাথা বরাবর কোপ দিতে যাচ্ছে। খট করে শব্দ হলো। কুড়ালটি নামিয়ে এনেছে লোকটি। বাচ্চা মেয়েটির করোটি কেটে ফ্লোরে বাড়ি খেয়েছে কুড়ালটি। নাদিয়া চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। যদিও হালকাভাবে গোঙানি ছাড়া অন্য কোন শব্দ শোনা গেল না। লোকটি সেদিকে কোন ভূরুক্ষেপ করলো না। কুড়াল আবার পিছনে নিয়ে আসলো। আগের বারেব মত গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে বাচ্চার কন্ঠ বরাবর কোপ দিলো। কোপ দেওয়ার সাথে সাথে মাথাটা ছিটকে দূরে চলে গেল। লোকটি হাতের কুড়াল ফ্লোরে রেখে দিলো একপাশে রাখা একটা মাঝারি আকারের স্টিলের চেয়ার টেনে নাদিয়ার সামনে নিয়ে আসলো। টেবিলের উপর কয়েক ধরনের ছুরি, চাপাতি, কাচি, বড়সর কিছু লোহার পেরেক আর হাতুড়ি গুছিয়ে রাখলো। এরমধ্যে নাদিয়ার জ্ঞান ফিরে এসেছে। সে তাকিয়ে তার মাথাহীন বাচ্চার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তার চোখ বেয়ে টপটপ করে পানি পরেছে। নাদিয়ায় জ্ঞান ফিরে আসায় সবথেকে বেশি খুশি হয়েছে লোকটি। রুমের এক কোনায় পরে থাকা নাদিয়ার বাচ্চার মাথা সে তুলে নিলো। আর সেটা তুলে নিয়ে ঠিক নাদিয়ার সামনে রাখা স্টিলের টেবিলের উপর রাখলো। নিঃশব্দ অট্টহাসি হাসছে লোকটি। পরিস্থিতি খুব মজার লাগছে কিনা তার কাছে। বাচ্চার মুখটা ঘুরিয়ে নাদিয়ার দিকে ফিরিয়ে দিলো সে। মাথার করোটি কাটার কারনে মস্তিষ্ক বের হয়ে আছে। অবশ্য ফ্লোরে ছিটকে পরার কারনে কিছু অংশ নষ্ট হয়ে মস্তিষ্কের আসল আকার হারিয়ে ফেলছে। বাচ্চা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে রয়েছে। মুখে টেপ পেচানোর কারনে নিচের অংশের কোন পরিবর্তন নেই। শুধু রক্তাক্ত কন্ঠনালী বাদে। - বাবু স্মাইল দেও তোমার আম্মুকে। ওহো তোমার মুখ তো বাধা। সরি ভুল হইছে আমার। কথা বলে এই প্রথম জোরেশোরে হাসতে শুরু করলো লোকটি। ভয়ানক এক হাসি। মাথাটা ঘুরিয়ে নিজের দিকে তাক করলো লোকটি। বাচ্চার মাথা নিয়ে তার প্লানটা বাস্তবায়ন করতে হবে। হাতে একটা স্ক্রু ড্রাইভার তুলে নিলো সে। খচ করে বাচ্চার ডান চোখে সেটা গেথে দিলো। হালকা মোচড় দিতেই চোখের অক্ষিগোলক সহ স্ক্র ড্রাইভার চলে আসলো। নাদিয়ার কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না । তার কান্নাও বহু আগে থেমে গিয়েছে। সে শুধু তাকিয়ে দেখছে। কারন এছাড়া তার করার কিছু নেই। এই অল্প সময়ের মধ্যে সে এই নির্মম সত্য বুঝতে পেরেছে। স্ক্রু ড্রাইভারের মাথা দিয়ে চোখটা হাতে নিলো লোকটি। একবার নাদিয়ার দিকে তাকালো তারপর হাতের চোখের দিকে। গপ করে মুখে সেটা পুরে দিলো সে । কোন কথা না বলে পাঁচ মিনিট চাবিয়ে সেটা গিলে ফেললো চোখটি । আবার কথা বললো লোকটি, বাচ্চাটা দেখতে কত সুইট কিন্তু ওর চোখ এত বাজে স্বাদের কেন ? কথাটা নাদিয়ার উদ্যেশ্যে বলছিলো যদিও লোকটি। তবে কোন উত্তর আশা করেনি। কয়েকবার ভাবার পর সে সিদ্ধান্ত নিলো না অপর চোখ খাবে না। তবে হাতে সে একটা চামচ তুলে নিয়েছে এবার। মিডিয়াম সাইজের চা চামচ। চামচ টা বাচ্চা মস্তিষ্কের মধ্যে ডুবিয়ে দিলো সে। চামচটা যখন তুললো তখন সেখানে মস্তিষ্ক উঠি এসেছিলো। কয়েক চামচ খাওয়া পর লোকটি বুঝতে পারলো এটাও মজার না। একটা পলিথিন আর মোটা কাগজের বক্স সে নিয়ে আসলো। টেবিলে রাখলো না সেগুলো। একটু দূরে ফ্লোরে রাখলো। কারন সে কোনভাবেই চায় না রক্ত প্যাকেটে লেগে থাকুক। হাতে ছুরি নিয়ে বাচ্চা বাম গালে কাটাকাটি শুরু করলো সে। গভীর করে কাঁটতে শুরু করলো সে। হাতে দুইটা ছোট সাইজের মোটামুটি চিকন স্টিলের রড বাচ্চার ডান চোখের গর্তের মধ্যে গেথে দিলো। - পারফেক্ট। উচ্ছ্বাস ঝরে পরলো লোকটির কন্ঠ থেকে। কিছুক্ষণের জন্য অন্যরুমে গিয়ে ক্যানভাস, কালার আর ছবি আঁকার অন্য সরঞ্জাম নিয়ে আসলো সে। প্রথমে ফ্লোরে একটা পেন্টাগ্রাম আঁকলো। তিনটা কালো রংয়ের মোম সেট করলো সেখানে। প্রতিটি মোম অন্যটা থেকে সমান দূরে অবস্থিত। পেন্টাগ্রামের ঠিক মাঝে নাদিয়ার বাচ্চার মাথাটা সে রাখলো। লোকটি ব্লাক মাজিকে বিশ্বাস করে না। তবে এমন একটা মডেল সবসময়ই তৈরি করা যায় না। তাছাড়া তার ছবি আঁকার অভ্যাস আছে। তো সে কিভাবে এরকম দূর্লভ মডেলের ছবি না আর্ট করে পারে ?







ইমা এখনো আছি তোমার প্রতীক্ষায়

No comments :
ইমা এখনো আছি তোমার প্রতীক্ষায় |||

আজম মোহাম্মদ


 সেদিন ইমার কোমল হাত ছুঁয়ে হাঁটার সুভাগ্য হয়েছিলো আমরা দুজন পদচিহ্ন এঁকে দিচ্ছিলাম বালির বুকে একপাশে ছিলো সমুদ্রের বিষাদী কল্লোল অন্য পাশে সবুজের প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঝাউবন। সেদিন আমরা বিষাদের কোনো উপত্যকায় ছিলাম না হঠাৎ ইমাকে প্রশ্ন করলাম……..
ইমা দেখছো ?
 আজিব!আমি অন্ধ নাকি  ?
না না।কিছু বলবো ?
গাধা! বলো। কি বলতে চাও।
ওই যে,  ওখানে ঢেউয়ের তালে তালে দোলিত যে ছোট্ট নৌকোটা ডুবুডুবু ওটার মতো যদি আমি ঢেউয়ের কাছে পরাজিত হয় কখনো ?
সেকি কবি হতে শিখেছো কবে মুচকি হেসে  
ইমা বলোনা,  প্লিজ
কি করবো আর। ডুবুরী হয়ে সমুদ্রের তলদেশে বিচরণ করবো আমার মুক্তা আহরণ করার জন্যে।
তাই নাকি ?
আর কিছু বললাম না।বললে যে ইমা রেগে যাবে তা জানতাম। আমরা এখন ঝাউবনের কচি কচি বৃক্ষরাজি ফাঁক করে হাঁটছি। এবার আমি আস্তে করে হাত ছাড়িয়ে নিলাম।
হাত ছাড়লে যে ?
না, এমনিতেই।  আরো একটু হাঁটলাম।হঠাৎ থেমে গেলাম আমি। ইমা আনমনে এগিয়ে যাচ্ছে। সে একাকীত্ব অনুভব করার সাথে সাথেই ফিরে তাকালো। এবার আমি জোরে জোরে হাঁটছি। ওর কাছে যেতেই শুনতে হলো অনুরাগের তপ্ত বাক্য। কিছু বললাম না।তারপর ………….. তখনো সন্ধ্যা নামেনি। তবু পাখিরা দল বেঁধে নীড়ে ফিরছে। সূর্যটা ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। তখনো হাঁটছি আমরা।
আচ্ছা ইমা,  ধরো,  চলার পথে আমাকে হঠাৎ থেমে যেতে হলো।তখন তুমি কি করবে ?
কি করবো মানে ? হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাবো । (গম্ভীর মুখেই বললো) আমি কিছু বললাম না অনেকক্ষণ  হঠাৎ হাত ধরে টান দিয়ে বললো
ওদিকে যাচ্ছো কোথায় ? দেখছো না, ওদিকে পানির কত বড়ো কূয়ো। ইমার হাতের ছোঁয়ায় আমি নিজেকে ফিরে পেলাম।
ইমা চলো ফিরে যাই।
চলো।আচ্ছা তুমি কি ভাবছিলে আমি এই উত্তর দিবো "আমিও তোমার সাথে থেমে যাবো। "?
কেন জানতো চাইছো এখন।
গাধা! যদি তাই বলতাম,তবে খুব খুশি হতে বুঝি! অথচ আমি তোমাকে যেভাবে কল্পনায় অনুভব করি তার চেয়ে আমার প্রানে, রক্তে, শিরা-উপশিরায় বেশি অনুভব করি তোমার উপস্থিতি। এখন নিজের উপর ঘৃণা জন্মালো।তখনি অবুঝ বালকের মতোই প্রশ্ন করলাম…….
ইমা, এত ভালোবাসো আমায় ?

না ঘৃণা করি।হাসতে হাসতে অকপটে বলে ফেললো। কিন্তু আমি জানি ওর হাসির গভীরতায় কি লুকিয়ে আছে।ততক্ষনে আমরা রাস্তার কাছাকাছি চলে এসেছি।এভাবেই চলতে লাগলো………… অতঃপর………….শুনলাম সে নাকি নিরবকে নিয়ে বেশ সুখেই আছে। জানতাম ভালবাসা এমনি হয়।যখন আষাঢ়-শ্রাবণে ঘোর বরষা নামে তখন প্রথম প্রথম ঝুম বৃষ্টি হলেও আস্তে আস্তে তার মাত্রা কমে আসে।শেষ অবধি থেমে যায়। আশার কথা হলো ঐ একি আকাশ হতে আবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।কিন্তু প্রথম যাকে ভালবাসা যায়,তার থেকে যে ভালবাসা পাওয়া যায় তা আর কারো কাছে পাওয়া যায়না।তাই আমি এখনো আছি ইমা তোমার প্রতীক্ষায়। তুমি আসবেনা আমি জানি। এতদিনে হয়ত বদলে গেছো অনেকখানি। অপেক্ষা করছি অবুঝের মতো । তবে কোনো ধোঁয়াটে নিকষ কালো রাতের বুকে ক্ষীণ আলো জ্বালিয়ে সিগারেটের বাক্স হাতে নয়। কেননা, একটা সিগারেটের কিছু বিষাক্ত ধোঁয়া আমার বিষাদকে মধুময় করতে পারবেনা। 



সাইকো

No comments :

                     সাইকো

                                                     অপরেশ পাল(অনুবাদ)
                              রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
Part - 2


রোকনের নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে। রোকন ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের একজন কর্মকর্তা । তবে সাধারন কর্মকর্তা না। স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন এজেন্ট। উপরন্তু এই স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন চার্জ সে। রোকনের সম্পূর্ণ নাম জোবায়ের আহামেদ রোকন। বয়স একত্রিশ তার। এ বয়সে তার মাথায় বেশ কিছু সাদা চুল শোভা পাচ্ছে। তবে সাদা চুলগুলো দেখতে খারাপ লাগে না। গত চার মাসে ছয়টা খুন হয়েছে। হ্যাঁ প্রতিদিনই দেশে খুনোখুনি হয়। সেটা নিয়ে পুলিশের মাথাব্যাথা। ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের না। তবে এ খুনগুলো স্বাভাবিক না। তাই যত সমস্যা আর দায়ভার তাদের নিতে হয়। খুনগুলো খুব ভয়াবহ যার কারনে তার উপর এসে এ কেসের দায়ীত্ব বর্তাচ্ছে। প্রথম খুনটা হয়েছিলো গত বছরের সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ। পলিমারের ব্যাগে ভালো করে পেঁচিয়ে লাশটা খুনি ডাষ্টবিনে ফেলে গিয়েছে। ডাষ্টবিনের কুকুরগুলো লাশের গন্ধ পেয়ে অদ্ভুত আচরণ করেছিলো। তাই মানুষজন লাশ আবিষ্কার করতে পারে । লাশটির মাথা আলাদা করা ছিলো। পেটের অংশটা পুরোপুরি আলাদাভাবে ছিলো। কাটা অংশ দিয়ে নাড়িভুড়ি বের হয়ে ভয়াবহ অবস্থা। মাথাটাকেও খুনি রেহাই দেয়নি। মাথায় চামড়া তুলে ফেলা হয়েছিলো। এরপর দাঁতগুলো একটাও নেই। দেখে মনে হচ্ছিলো জীবন্ত অবস্থায় দাঁত টেনে তোলা হয়েছে। আর এ কাজে সম্ভবত প্লায়ার টাইপ কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। ঠোঁটের অবস্থাও ভয়াবহ। ঠোঁটের দুপ্রান্ত ধারালো ছুরি দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। দাঁতহীন মাড়ি সেখানে থেকে বেরিয়ে ছিলো। যে মেয়েটার লাশ পাওয়া গিয়েছিলো তার জীবিত অবস্থার ছবি দেখেছিলো রোকন। যে কেউ এ মেয়েকে জীবনসঙ্গিনী হিসাবে চাইবে। কিন্তু তার লাশের অবস্থা কেউ যদি সামনাসামনি দেখে তাহলে তার কয়েক মাসের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। মেয়েটার নাম ছিলো লিসা। লাশ আবিষ্কারের তিন দিনের মাথায় তাকে এ কেসে নিযুক্ত করা হয়। রোকন প্রথমে ধরে নিয়েছিলো ব্যক্তিগত আক্রোশে খুনটা হয়েছে। সেই হিসাবে তার তদন্ত চলছিলো। কিন্তু অক্টোবরের চব্বিশ তারিখের খুনটা তাকে অন্যকিছু ভাবতে বাধ্য করে। তাকে বাধ্য করে ভাবতে যে খুনি একজন সাইকোপ্যাথ। দ্বিতীয় খুনটা প্রথমটার থেকে কম যায় না। বলা যায় ভয়াবহতার দিক থেকে এক কাঠি উপরে। এবার ভিকটিম ছিলো বাইশ বছর বয়সী একটা মেয়ে। নাম তমা । ভার্সিটি পড়ুয়া সাধারণ মেয়ে। খুনের ভয়াবহতা বেশি বলার কারন হচ্ছে এবার খুনী মেয়ের নিচের অংশের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। মেয়ের পায়ের প্রতিটি আঙ্গুলের প্রথমে নখ তুলেছে সে। তারপর ব্যান্ডেজ করেছে। এরপর ধারালো কিছু দিয়ে আঙ্গুলগুলো কেটেছে। ব্যান্ডেজ করা আঙ্গুলগুলো লাশের সাথে পাওয়া গিয়েছিলো। পায়ের পাতার চামড়া কিছু দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিলো। রোকনের ধারনা পুরো কাজটাই ভিকটিম কে জীবন্ত অবস্থায় করা হয়েছে। উপরের অংশে প্রথম ভিকটিমের মত পাওয়া গিয়েছিলো। মাথা আলাদা, দাঁত তুলে নেওয়া, গাল কাটা। এমনকি কানটাও কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রথম ভিকটিমের মত এরও মাথার চামড়া তুলে নেওয়া হয়েছিলো। তৃতীয় ভিকটিম থেকে ষষ্ঠ ভিকটিম সবাই মিডিয়ার সাথে জড়িত ছিলো। তৃতীয় ভিকটিম ছিলো উঠতি মডেল। চতুর্থ ভিকটিম ছিলো নাটকের সাথে জড়িত। পঞ্চম ভিকটিম অবশ্য বাচ্চা। বারো বছরের শিশু শিল্পী। আর গতকাল খুন হওয়া ভিকটিম ছিলো বর্তমান মিডিয়ার টপ মডেল আর অভিনেত্রী। খুনের ধারা প্রতিটি প্রায় একই রকম তবে প্রতিটি খুনে নতুন নৃশংসতা যুক্ত হয়েছে। রোকনের কোন সন্দেহ নেই সব এক খুনী কাজ। আর খুনি অবশ্যই একজন। কারন সাইকোপ্যাথ ঘরে ঘরে জন্মায় না। তবে খুনির মোটামুটি টাকাপয়সা আছে। কারন ভিকটিম কে কিডনাপ করে নিয়ে আসা কম খরচের না। না হলেও নিজের গাড়ি থাকতে হবে। সুতরাং খুনি আর্থিকভাবে সচ্ছল। খুনি ফ্যান্টাসীতে ভুগছে। কারণ প্রথম খুনগুলো শুধু চুপচাপ কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়া হত। আর এখন খুনি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। তৃতীয় খুন থেকে শেষ খুন অর্থাৎ ষষ্ঠ খুন পর্যন্ত সে তার খুনে ভিন্নমাত্রা যুক্ত করেছে। ভিকটিম কে সপ্তাহখানেক আগে সাদা ইনভেলাপের মধ্যে লাল রংয়ের একটা কাগজ পাঠাতে শুরু করে। লাল কাগজটা পরীক্ষা করে দেখেছে রোকন। দেখে মনে হচ্ছিলো লাল রঙে ভিজিয়ে শুকানো হয়েছে সাদা কাগজ কে। রোকনের কেন যেন মনে হচ্ছিলো এটা রক্তে ভেজানো। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তার ধারনা সত্য। ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিলো। আর সেটার ফলাফলটা আরো ভয়াবহ ছিলো। পূর্ববর্তী ভিকটিমের রক্তে ভেজানো চিঠি ছিলো সেটা। ডিএনএ টেষ্ট একটা সুবিধা করে দিয়েছিলো। সুবিধাটি হচ্ছে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিলো যে সব একজন খুন করছে। কেসটা নিয়ে ভাবছে রোকন। কোন উল্লেখযোগ্য সূত্র এখনো তার চোখে পরেনি। আচ্ছা কি কি জানি আমি খুনি সম্পর্কে? মোটামুটি বলা যায় কিছুই না। তবে কিছু সিদ্ধান্তে আসা যায়। যেমনঃ খুনির বয়স পঁচিশের উপরে। কারণ এর নিচের বয়সী কেউ এতো সাহস নিয়ে একের পর এক খুন করতে পারবে না। খুনি একা একা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কারন কাউকে জানালে ধরা খাওয়ার সম্ভবনা আছে। তাছাড়া এত পাগলামি কোন সন্ত্রাসীও সাপোর্ট করবে না। খুনি আর্থিকভাবে ভালো অবস্থানে আছে আর অবশ্যই নিজস্ব গাড়ি রয়েছে। খুনি ফ্যান্টাসি প্রিয়। কারন রেড লেটার তার ফ্যান্টাসি প্রকাশ করে। আর সাথে তার আত্মবিশ্বাস ও প্রকাশ করে। সে ইচ্ছে করেই পুলিশ কে ক্লু দিচ্ছে যে সব খুন একজন করেছে। সে নিজের উপর খুব বেশি আত্মবিশ্বাস না হলে এ কাজ করতো না। সাথে সাথে সে পুলিশ আর ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের উপর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। তবে খুনগুলোর পিছনে মোটিভ কি? ক্লিয়ার না রোকনের কাছে। স্রেফ পাগালামী পুরো ব্যাপারটি এটা মানতে রোকন পুরোপুরি নারাজ। কোন কারন অবশ্যই এর পিছনে রয়েছে। আর খুনগুলো অবশ্যই একটি অন্যটির সাথে সম্পর্ক যুক্ত। তবে এগুলোর মধ্যে রোকন তেমন কোন লিংক খুঁজে পাচ্ছে না। মিডিয়ার উপর রাগ? হতে পারে সম্ভবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আচ্ছা খুনি কিভাবে ভিকটিম বাছাই করে ? এটার উপর জোর দেওয়ার দরকার? যদি কোনভাবে লিংকটা বোঝা যায় তাহলে পরবর্তী টার্গেট বোঝা সহজ হবে। তবে এটা বোঝার একটা ভালো আইডিয়া রোকনের মাথায় এসেছে। তবে কাজে আসে কি না এটা নিয়ে রোকন কিছুটা সন্দেহ অনুভব করছে। তবে শুরু করে দেখা যেতে পারে। রোকন মোবাইল হাতে নিয়ে দ্রুত একটি সেভ করা নম্বরে কল করলো। তিনবার ডায়ালটোন শোনার পর মানুষের কন্ঠস্বর ভেসে আসলো, - স্লামালিকুম স্যার - সালামটা ঠিকমতো শিখলে না রাসেল । আচ্ছা তোমাকে যে জন্য ফোন করেছি। ঢাকার যত পত্রিকা আছে সবগুলোর গত ছয়মাসের পেপার সংগ্রহ করো। এরপর সেগুলো থেকে ভিকটিম ছয়জনের সম্পর্কে যত তথ্য আছে সেগুলো বাছাই করে সেসব পত্রিকা আমার কাছে নিয়ে আসো। - কখন লাগবে স্যার - যত দ্রুত সম্ভব। কালকের মধ্যে না সম্ভব হলে পরশু -স্যার, আপনি কি আমাকে অপমান করছেন? আমাকে এ কাজের জন্য সরকার বেতন দিচ্ছে। আজকে রাত আটটার মধ্যে আপনার টেবিলে পেপার চলে যাবে । - আচ্ছা তাহলে আমার বাসায় পেপার পাঠিয়ে দিও। - জ্বি স্যার। - আচ্ছা bye কল কেটে রোকনের মুখে হালকাভাবে একটা হাসির ভাব ফূটে উঠলো। রাসেল ছেলেটাকে তার সবসময়ই ভালো লাগে। কর্মঠ ছেলে। কোন কাজে এখন পর্যন্ত না বলে নি। উপরন্তু তার কাজের উপর অনাস্থা প্রকাশ করতে খুব রেগে যায়। এই যেমন এখন হয়েছে। কালকে দিতে পারবে কি না সন্দেহ প্রকাশ করায় রাসেল রেগে গিয়েছে। রোকন অবশ্য কাজটি ইচ্ছে করেই করেছে। রোকন ভালোভাবেই জানতো এভাবে কথা বললে রাসেল রেগে গিয়ে দ্রুত কাজ করে দিবে। বুদ্ধিটা অবশ্য কাজে দিয়েছে।


কানামাছি না জলহস্তি

No comments :
কানামাছি না জলহস্তি ...
নাফ নদীর তীরে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে বিবেক চোখে কালো কাপড় আর মুখে কলুুপ এঁটে- চুপ করে আছেন দাদারা । কারা অসহায় ? আমরা না দাদারা ? কালো কাপড় সরান, বলেন কিছু । বিশ্ব দরবারের কবাটে আর কত মাথা ঠুকাবো ? তোমরা কি এতই বুভুক্ষ যে- মানুষের রক্ত মাংস ছাড়া কিছই চলে না ? দিলে এই অত্যাচার বন্ধ হবে ? তোমরা কি কানামাছি ... না জলহস্তি ? কিছুই দেখো না ... তোমাদের দেহে কবে সুড়সুড়ি লাগবে ?



অভিলাষ মাহমুদ

এ্যাসিস্ট্যান্ট সাব এডিটর নিউজ চিটাগাং২৪



সাইকো

1 comment :
সাইকো

অপরেশ পাল(অনুবাদ)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়



                                       part - 1
কর্কশ একঘেয়ে শব্দ রুমের দেয়ালে বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে চাপা গোঙানির একটা শব্দে শোনা যাচ্ছিলো। তবে এ মূহুর্তে শুধু হাড় কাটার একঘেয়ে শব্দটি শোনা যাচ্ছে। বিশাল একটা রুমের ঠিক মাঝ বরাবর একটা চেয়ার বসানো রয়েছে। চেয়ারটি ফ্লোরের সাথে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাই চাইলেও চেয়ারে বেধেঁ রাখা ছাব্বিশ বছর বয়সী মেয়েটি নড়ানোর কোন ক্ষমতা নেই। রুমে আরেকজন ব্যাক্তি রয়েছে। নিবিষ্ট মনে মেয়েটির পা একটি টুলের উপর রেখে ধারালো কড়াতের ব্লেড দিয়ে ঘসে যাচ্ছে। তার যেন বেঁচে থাকা, মরে যাওয়া এর উপর নির্ভর করতে। মেয়েটির ডান পা হাঁটুর উপর থেকে আলাদা করার পর শক্ত করে ব্যান্ডেজ করে অন্য পা কাটতে শুরু করলো লোকটি। মেয়েটির চেতনা কিছুক্ষণ আগে ফিরে এসেছে। কড়াত হাতে লোকটার উদ্যেশ্য বোঝার সাথে সাথে শরীরের সমস্ত শক্তি সঞ্জয় করে চিৎকার করার চেষ্টা করলো মেয়েটি। তবে উল্লেখযোগ্য কোন ফলাফল পাওয়া গেল না। মুখের ভিতরে ভালোভাবে কাপড় গুঁজে রাখার কারনে চিৎকার চাপা পরে গেল। আতঙ্কিত চোখে মেয়েটি লোকটির দিকে রইলো। তার চোখ বেয়ে টপাটপ পানি পরছে। বুঝতে পারছে তার কোন রক্ষা নেই। ষাট ওয়াটের বাল্বের আলোতে মেয়েটি স্পষ্ট দেখলো তার বাম পা টাও আলাদা করা হয়েছে। সময় নিয়ে এবার ব্যান্ডেজ করেলো লোকটি। বেশ কিছুক্ষণ তার কোন সাড়াশব্দ নেই। হঠাৎ করে ড্রিল মেশিনের শব্দ শুনে আঁতকে উঠলো মেয়েটি। এখন কি হবে তার? ড্রিল মেশিন দিয়ে নতুন কোন অত্যাচার করতে চায় তার উপর? নিজের শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে এসব ভেবে যখন মেয়েটি কূল পাচ্ছে না ঠিক তখন তার পিছনে এসে লোকটি দাঁড়ালো। কয়েক মূহুর্ত অপেক্ষা করে ড্রিল মেশিনটা চালু করলো লোকটি। তারপর আস্তে আস্তে মেয়েটির মাথার পিছনের অংশে চেপে ধরলো মেশিনটি। হাড় ছিদ্র হওয়ার ভয়ঙ্কর শব্দ ড্রিলমেশিনের শব্দ ছাপিয়ে শোনা যাচ্ছে। মেয়েটি অসহ্য যন্ত্রনা মাথা নাড়ানোর শেষ চেষ্টা করলো। কিন্তু তাকে এমনভাবে চেয়ারের সাথে আটকে রাখা হয়েছে যে মাথায়টা এক চুল নড়াচড়া করতে পারলো না। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো মেয়েটি। তবে লোকটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। ড্রিলমেশিন দিয়ে সে ক্রমাগত ছিদ্রের আকার বড় করে নিচ্ছে। ছিদ্র বড় হতে হতে এখন এতটা বড় হয়েছে যে এক যে কোন মানুষের মোটা দুই আঙ্গুল প্রবেশ করতে পারবে। হাতের ড্রিলমেশিনটা রেখে একটা প্লাস্টিক পাইপ ঠোঁটে লাগিয়ে নিলো লোকটি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পাইপের অপর প্রান্তে মেয়েটির মাথার সদ্য ছিদ্র করা ছিদ্রে প্রবেশ করালো। কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে পাইপে টান দিতে শুরু করলো সে। থোকা থোকা ব্রেইনের অংশ পাইপের মাঝে দিয়ে এসে তার গলার প্রবেশ করছে। দ্রুত খাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। এ মূহুর্তে তাকে দেখলো মনে হবে মেয়েটির ব্রেইন খাওয়াটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর মস্তিষ্ক খাওয়া তার পেশা। নিজের তৃপ্তি মিটিয়ে ব্রেইন গলাধঃকরণ করছে সে। থোকা থোকা জমাটবাঁধা মস্তিষ্ক পাইপের মধ্যে দিয়ে খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেল। লোকটি হাতে আবার ধারালো কড়াতটি তুলে নিলো। লাইটের আলোতে চিকচিক করছে সেটি। আস্তে আস্তে ডান হাতটি কাটতে শুরু করলো সে। খুব বেশি সময় লাগলো না হাতটি আলাদা করতে। এরপর অন্য হাতটি কাটতে শুরু করলো। ঘসঘস বিশ্রী শব্দ রুমের দেয়ালে বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। হাত আলাদা করার পর মাথা কাটতে শুরু করলো সে। কন্ঠনালীতে দ্রুত ব্লেড চালাচ্ছে। সাথে সাথে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। রক্তে ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে। তবে সেদিকে কোন ভুরুক্ষেপ নেই তার। লাশের ব্যবস্থা করা হলে গরম পানি দিয়ে রুম পরিষ্কার করলেই হবে। ছিটেফোঁটাও রক্তের দাগ থাকবে না তখন। তবে রক্তের দাগ থাকলেও কিছু আসে যায় না। এখানে কেউ এসে দেখার নেই। প্রশ্ন করার নেই কেন এখানে রক্ত পরে রয়েছে। তবে রক্তের একটা বাজে গন্ধ আছে কি না। সময়ের সাথে বিশ্রী গন্ধ ছড়ায়। তাজা রক্তই ভালো ভাবছে লোকটি। খেতেও ভালো লাগে। ভাবতে ভাবতে মেয়েটির মাথাটা আলাদা করে ফেললো লোকটি। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে সেখান থেকে। তবে গতিটা এখন একটু কম। মাথা ফ্লোরে রেখে মেয়েটির কাটা কন্ঠনালীতে মুখ লাগিয়ে রক্ত পান করতে লাগলো। খুব তৃষ্ণা পেয়েছে তার। আর এ তৃষ্ণা পানিতে মেটাবার না। রক্ত দিয়ে মেটানোর। তাজা রক্ত দিয়ে। রক্ত কিছুক্ষণ পান করার পর কন্ঠনালী থেকে মুখ তুলে নিলো লোকটি। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত এখনো সেখান থেকে পরছে। হাতে এবার একটা বড়সর ধারালো ছুরি তুলে নিলো সে। স্টিলের ছুরিটা একটু পর পর লাইটের আলো প্রতিফলন করছে। বুকের মাঝখানে এসে ছুরিটা আটকে গেল। হাতুড়ি দিয়ে ছুরির উল্টোপাশে আঘাত করতে থাকলো লোকটি। দশ বারোটা আঘাত করার পর ছুরিটা আবার এগুতে লাগলো। দেখতে দেখতে পুরো শরীরটা দুভাগ হয়ে গেল। লোকটি অনেক আগেই দড়ি খুলে নিয়েছিলো। যে দড়িগুলো মেয়েটিকে বাঁধবার জন্য সে ব্যবহার করেছিলো। তাই মেয়েটির শরীর আলাদা করে রাখতে খুব একটা অসুবিধা হলো না। রুমের ফ্লোরের আসল রঙ রক্তের লাল রঙে ঢেকে গিয়েছে। রক্ত গুলো এরমধ্যেই শুকাতে শুরু করছে। নাহ্ এবার রক্ত তুলতে বেশ কষ্ট হবে। বিড়বিড় করে নিজের মনেই কথাটা বললো লোকটি। মেয়েটির নগ্ন শরীরের দিকে তাকালো সে। মেয়েটিকে বাঁধার আগেই জামাকাপড়গুলো খুলে নিয়েছিলো সে। নাহলে কাটাকুটি করা বেশ ঝামেলা। মেয়েটির হৃদপিণ্ড স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। হাতের ছুরি দিয়ে হৃদপিণ্ডের শিরা ধমনী কেটে ফেললো সে। হৃদপিণ্ড হাতে নিলে দাঁড়ালো লোকটি। লাইটের আলোতে হৃদপিণ্ডের অলিন্দ আর নিলয় স্পষ্ট। হাতে হৃদপিণ্ডের উষ্ণতা অনুভব করছে সে। অল্প কিছুক্ষণ হয়েছে কি না, উষ্ণ থাকাটাই স্বাভাবিক। মুখটা বড় কে হা করে কাঁমড় বসিয়ে দিলো সে। অনেকটা রবারের মত পেশীগুলি কচকচ শব্দ তুলে সে চাবাতে থাকলো। কোন ভালো স্বাদ পাচ্ছে না লোকটি। তারপরও সে দ্বিতীয়বারের মত হৃদপিণ্ডে কাঁমড় দিলো । প্রায় পঁচিশ মিনিট হৃদপিণ্ড শেষ করতে লাগলো তার। রুমে লাশ লাশ একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গন্ধটা লোকটার খুব পছন্দের। পলিথিনের প্যাকেটে লাশের অংশগুলো পেঁচিয়ে নিতে লাগলো । লাশের ব্যবস্থা করতে হবে।




সেই সব দিন

3 comments :
সেই সব দিন



এখনও  কলাবনের গন্ধ  নাকে  আসে,
 গাংঙের ঘোলাটে জলে  হারিয়ে  ফেলি নিজেকে;
স্মৃতিকাতর  স্নায়ু আমার  -
নাড়ার ফাঁকে  ফাঁকে  গতরাতে ফেলে আসা
বড়শি তুলতে -
উঠে পড়ি খুব ভোরে  ।
ধানফুলের মাতাল  হাওয়া
আমাকে  শুইয়ে রাখতে রাখতে  চায়;
শ্রান্ত কাকের মত
একমাথা  রোদ্দুর নিয়ে ফিরি ঘরে ।

সদ্য  কেনা পায়রা দুটি  ফেরে নি বলে -
আলো  ফেলেছি ঘুমন্ত  গাছের  মগডালে
তনুদের বাড়ি গিয়েছি কতবার !
রাত্রির কূল  ঘেঁষে  হ্রদয়ের  গভীরে
কি এক অজানা  ভয়  তাড়িয়ে  বেড়াতো শুধু -

তবুও  আজ  সেই  সব দিন  মনে পড়ে
বিষন্নতার নির্বাক ব্যাপ্তির  ভিতরেও ।









writer
Antu Biswas  


জনপ্রিয় পোষ্ট